রাশিদুল ইসলাম : [২] এর আগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপশাসনের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করতেন। এবার তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েল জনস্বার্থ এবং সুরক্ষার বিরুদ্ধে একটি অর্থহীন যুদ্ধে টেনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনছেন। নেতানিয়াহু বিশ্বে ইসরায়েলের ভাবমূর্তীর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছেন। জেরুজালেম পোস্ট
[৩] প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আয়োজককারীরা বলেন আল-আকসা মসজিদে ফের ইসরায়েলের সেনাবাহিনী যে মারধর ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে এজন্যে নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব দায়ী। সংখ্যাগরীষ্ঠ ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করছেন।
[৪] আয়োজকরা ইসরায়েলকে নেতানিয়াহুর বিপজ্জনক নেতৃত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে শান্তি স্থাপনের আহবান জানান। ইন মাতসাভ, ব্লাক ফ্লাগস ও দি পিঙ্ক ফ্রন্স নামে বেশকয়েকটি সংগঠন এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আয়োজন করে।
[৫] এসব সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার মত। দুর্নীতিবাজ একজন নেতা তার শেষ গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। একাধিকবার তিনি সীমা অতিক্রম করেছেন এবং ইসরায়েলকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছেন।
[৬] ইসরায়েলের দি মুভমেন্ট ফর কোয়ালিটি গভর্নমেন্ট (এমকিউজি) জানিয়েছে অবিলম্বে একটি বিল উপস্থাপন করা হবে যেখানে ইসরায়েলিদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দেওয়ার জন্যে অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হিসাবে কাজ করা থেকে বিরত রাখার প্রস্তাব রাখা হবে। কারণ ইসরায়েলের পরিস্থিতি গুরুতর, নেতানিয়াহুকে নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন এবং তিনি তার নেতৃত্ব এভাবে আর চালিয়ে যেতে পারেন না।