রিয়াজুর রহমান: বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেন নগরীর বায়েজিদ থানাধীন বালুছড়া এলাকার যুবক মো: মুরশেদ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে মুরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ মে চাঁনরাতে সবাই যখন পবিত্র ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো সেই সুযোগে রাত সাড়ে আটটায় এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসী মোঃ ইব্রাহিম (৪৭) এর নেতৃত্বে মোঃ কামাল উদ্দিন , মোঃ দিদার আলম (৪২) , মো: ইসমাইল (৩৩) , মোঃ নঈম উদ্দিন (৩৩), মোঃ মুছা (৪৬) পিতা-মৃত সৈয়দ আহম্মদ, , মোঃ সাজ্জাদ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ব্যক্তি ধারালো কিরিচ, রড, লাঠি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মরহুম নুর মোহাম্মদ সওদাগর পরিবারের সন্তান মোঃ নুরুল আমিন উপর নির্বিচারে হামলা চালায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মোঃ সালাউদ্দিন রুবেল (৩৫) কে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে তার ডান চোখের উপ গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা পাইপ দিয়ে নঈম উদ্দিন সোহেলকে আঘাত করে তার দুই হাতের কুনুই ভেঙ্গে দেয়। তাদের এলোপাথারি কিরিচ দিয়া কুপিয়ে মোঃ সজল (২৫) এর পায়ের গোড়ালী আঘাত প্রাপ্ত হয়। এসময় উপস্থিত মোরশেদ আলম (২৯) মোঃ রনি (১৮) ও মামুনকে এলোপাথারি মারধর করে মারাত্মক ভাবে আহত করে।
তাছাড়া হামলার পাশাপাশি মামুনের দোকানের ক্যাশ বক্স হইতে নগদ ৩৪,৫০০/-টাকা, নঈম উদ্দিন সোহেল এর নিকট থাকা নগদ ৩২,০০০/-টাকা ও মোঃ সেলিম এর নিকট থাকা নগদ ৪৮,০০০/-টাকা নিয়া যায়। পরে হামলার সংবাদ পেয়ে আমরা এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে উল্লেখিত গোষ্ঠি তাদেরকে জানে মারিয়া ফেলার ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর (রেকর্ডিং মেশিন) মেশিনটি নিয়া যায়। তারা হামলার প্রমান ধ্বংস করতে সিসি ক্যামরার ডিভিআর লুট করে নিয়ে গেলেও আশপাশের একাধিক ব্যক্তি গোপনে সেই হামলার ভিডিও চিত্র ধারণ করে৷ সেই ভিডিওতে উল্লেখিত হামলাকারীদের পরিষ্কার চিহ্নিত করা যায়৷
সংবাদ সম্মেলনে এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।