বাবুল আক্তার: [২] অবৈধ পথে ভারত থেকে আসা বাদশা ভাস্কর নামে এক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি বেনাপোল পোর্ট থানার পোড়াবাড়ী নারায়নপুর গ্রামে হাসিনা বেগমের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তিনি হাসিনা বেগমের স্বামী ও ভারতীয় নাগরিক।
[৩] স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ বাদশা ভাস্করকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় ও হাসিনা বেগমের বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে।
[৪] স্থানীয়রা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর ছড়িয়ে পড়ে পোড়াবাড়ী নারায়নপুর গ্রামে ভারত থেকে একজন লোক এসে চায়ের দোকানী হাসিনার বাড়িতে উঠেছেন। এরপর থেকে করোনা আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে।
[৫] হাসিনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, ভারত থেকে আসা বাদশা ভাস্কর তার স্বামী এবং তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক। তার পিতার নাম মৃত নান্দু ভাস্কর। তিনি কর্ণটকের বাসিন্দা এবং হোটেলের বাবুর্চি।
[৬] হাসিনা বেগম জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার স্বামী অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে তার বাড়িতে এসেছেন। আসার সময় তার স্বামীর কাছে থাকা টাকা পয়সা যা ছিলো সীমান্তের লোকজন তা নিয়ে নিয়েছেন। তার শরীরে কাঁটা তারের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তিনি তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দিতে না চাইলে তার স্বামী বাদশা লস্কর আত্মহত্যা করবে বলে জানালে তাকে একটি রুমে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
[৭] চায়ের দোকানীর প্রতিবেশিরা জানান, ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপে হয়তো তিনি সেখান থেকে ভয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। তাছাড়া কোন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই তাকে গ্রামে রাখা সম্ভব না। এছাড়া তিনি অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে।
[৮] স্থানীয় ইউপি সদস্য মেয়াদ আলীর জানান, ভারত থেকে আগত একজন ভারতীয় নাগরিকের বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। সে নাকি ভারতের মহারাষ্ট থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং আমার গ্রামে এসেছে। আমি বিষয়টি বেনাপোল পোর্ট থানায় অবহিত করেছি।
[৯] বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মাসুম বিল্লাহ বলেন, এলাকার লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তি বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে এসে চেকপোস্টের জুয়েল হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাসিনা বেগমের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :