আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]বক্তব্যটিকে মিথ্যা প্রমাণ করে মাথাপিছু আয়ের দূরত্ব আরও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। [৩] আবারও মাথাপিছু আয়ে বাংলাদেশের কাছে হোচট খেয়েছে ভারত। সম্প্রতি সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের অর্থবছরে তা ছিলো ২ হাজার ৬৪ ডলার। সর্বশেষ সরকারি হিসেব বলছে, ভারতের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯৪৭ ডলার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
[৪] মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে বলা যায়, এবার বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৯ শতাংশ। অতিমারির এই কালে যা হবে অত্যাশ্চর্য এক ঘটনা। যদিও এই ব্যাপারে আইএমএফ আর বিশ্বব্যাংকের ধারণা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তাদের দেওয়া উপাত্ত যদি সরকারের কাছাকাছিও যায়, এর চেয়ে বড় ঘটনা এক বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে খুব বেশি ঘটেনি।
[৫] তবে বাংলাদেশ ভারতকে ছাপিয়ে গেছে, এই কথা এখনও মানতে নারাজ ভারতীয় অর্থনীতিবীদদের অনেকে। এক অর্থনীতিবীদ বলেন, ‘এটা খুবই অস্থায়ী একটি ব্যাপার। বাংলাদেশ শ্রমভিত্তিক রপ্তানীর উপর নির্ভরশীল। তবে প্রবৃদ্ধি ভারতের গতিতে ধরে রাখতে পারবে না। অতিমারি শেষ হলেই ভারত বাংলাদেশকে ছাপিয়ে যাবে। ভারত কিছু নীতির কারণে পিছিয়ে গেছে।’
[৬] ভারতের সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রোমনিয়াম মনে করেন, দুই দেশের এই নাম্বার তুলনা করা যাবে না। কারণ দুই দেশের মার্কেট এক্সচেঞ্জ রেট সমান নয়। অবশ্য বছরের পর বছর ভারত জিডিপি’র তুলনাতেই নিজেদের বিচার করে এসেছে। এখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হওয়ায় তারা এই ধারণা থেকে সরে আসতে চায়।
আপনার মতামত লিখুন :