সুমাইয়া ঐশী: [২] বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের মধ্যেই দেশজুড়ে জারী করা কারফিউ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
[৩] ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণ কমেছে। গত মাসেও যেখানে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিলো ৪০ হাজার, সে তুলনায় বর্তমানে এ সংখ্যা নেমেছে ১৩ হাজারে। তাই সিনেমা হল, থিয়েটার ও সব ধরনের দোকানপাটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। বুধবার থেকেই একসঙ্গে ছয়জন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। বিবিসি, ফ্রান্স ২৪, ইউরো নিউজ
[৪] এর আওতায় রেস্টুরেন্ট ও বারগুলো ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক গ্রাহক নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। অন্যদিকে, সিনেমা হল ও থিয়েটারের মতো স্থানগুলো ধারণ ক্ষমতার ৩৫ শতাংশ ব্যবহার করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে ৮০০ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হওয়া যাবে না।
[৫] করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফ্রান্সজুড়ে কারফিউ জারী করা হয়েছিলো। এখন সংক্রমণ কমায় একঘণ্টা পেছানো হচ্ছে এর সময়সীমা। তবে দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের তুলনায় সংক্রমণ কমলেও বর্তমানের হারও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এরই মধ্যে বিধি-নিষেধ শিথিল করা বিপজ্জনক হতে পারে।
[৬] দেশটিতে সমানভাবে চলছে ভ্যাকসিনেশনও। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি মানুষ করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন এবং প্রায় ৯০ লাখ সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিনেটেড।
[৭] ফ্রান্সের সাধারণ মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে। দীর্ঘদিন পর আবারও স্বাভাবিক অভ্যাসে ফিরে যাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত তারা। এর মাধ্যমে ফ্রান্সের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আবার সচল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল