শিরোনাম
◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০২১, ০৭:০৫ বিকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০২১, ০৭:০৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘স্যার, এই পুলিশদের চাকরি যেন না যায়’

সুজন কৈরী: প্রতিকার চেয়ে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকার একজন ভুক্তভোগী গত ২ মে পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে একটি বার্তা পাঠান। সেখানে স্থানীয় এক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ এক কর্মকর্তার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ করেন। বার্তাটি পেয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ। তবে এই অভিযোগের কারণে ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরি যেন না যায় সেই অনুরোধও জানান অভিযোগকারী।

বুধবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) সোহেল রানা জানান, বার্তায় ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, কিছুদিন ধরে তিনি লক্ষ্য করেছেন স্থানীয় ফাঁড়ির ইনচার্জ ও তার সহযোগী অপর এক কর্মকর্তা সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। তিনি নিজেও একবার তাদের হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযোগের সপক্ষে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন নি। তিনি দাবি করেন, গোপনে বিষয়টি তদন্ত করলে তার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।

বার্তা পাঠিয়ে অভিযোগকারী তার নিরাপত্তার বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন। যদিও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তার নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর ওই ব্যক্তির বার্তাটি লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামানকে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে একটি গোপন তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সাদা পোশাকে পুলিশের একটি টিমকে ওই এলাকায় নিয়োজিত করেন এবং তদন্তকালে অভিযোগের সত্যতা পান। এরপর তাৎক্ষণিক ফাঁড়ির ইনচার্জসহ অপর এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণাদি ও তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর অভিযোগকারী ব্যক্তি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লেখেন, আপনাদের এবং লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের পেশাদারিত্বে আমি অনেক সন্তুষ্ট। আপনাদের সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের মাধ্যমে আমি লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি তার জন্য পুলিশ বাহিনীর কাছে আমার প্রত্যাশা বহুগুণ বেড়ে গেল। তবে স্যার, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাদের শাস্তি যাতে চাকরিচ্যুতি না হয়, এটা আমার বিনীত অনুরোধ। কারণ স্যার, অপরাধ উনি করেছেন, উনার পরিবার তো করেনি। যাতে ওরা এই কাজগুলো করার আগে দ্বিতীয়বার ভাবে, এটাই আমার অভিযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়