কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনালাপে দেশটির কাছে বাংলাদেশের প্রাপ্য ভ্যাকসিন চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
[৩] বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, জরুরি ভিত্তিতে প্রতি মাসে অন্তত ৩০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
[৪] মঙ্গলবার ফোনালাপে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর জানান, তিনি বাংলাদেশের টিকার চাহিদার ব্যাপারে অবগত আছেন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন।
[৫] ড. মোমেন বলেন, ভারত যেহেতু সময় মত টিকা দিতে পারেনি সেজন্য বাংলাদেশ ভ্যাকসিন চেয়ে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশকে টীকা প্রদানের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করতে পারেন বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন। জয়শঙ্করও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরাধ করবেন বলে জানান।
[৬] ড. মোমেন ভারতে ঘূর্ণিঝড়সহ করোনায় মৃতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
[৭] বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে ৩কোটি ডোজ অক্সফোর্ডের করোনা টিকা সরবরাহের চুক্তি করেছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা ছিল। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা বুঝে পেয়েছে। এছাড়া ভারত সরকারের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।