মঈন উদ্দীন: [২] নাম সর্বস্ব বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির লোগো আবার কখনো নামিদামি কোম্পানির মোড়কজাত করে নকল ওষুধ বাজারজাত করা হচ্ছে। বেশি লাভের নেশায় কম দামে এসব ওষুধ কিনে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে অসাধু ফার্মেসি মালিকরা। এই ওষুধ ব্যবসায়ীরা পুষছেন দালালও।
[৩] হাসপাতাল থেকে রোগি ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে কখনো মানহীন ওষুধ কিংবা নকল ওষুধ ধরিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন কৌশলে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে।
[৪] দুই বছর থেকে নগরীর একটি বাসায় নকল ওষুধ প্রস্তুত করে আসছিলো আনিস নামের এক ব্যক্তি। গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী বিভিন্ন সরঞ্জামসহ প্রায় কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ জব্দ করে ডিবি পুলিশ।
[৫] এ ব্যক্তির দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীর বাজারে কোটি কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ আছে। অথচ রাজশাহী ওষুধ প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনিই বাজার থেকে ওষুধের স্যাম্পল সংগ্রহের কথা জানিয়েছে। এক্ষেত্রে গত দুই বছরে তারা নকল ওষুধের কারখানার সন্ধান বা ফার্মেসিতে নকল ওষুধ বিক্রয়কারী কোনো ব্যবসায়ীর সন্ধান পেয়েছেন কী নাÑ এবিষয়ে তারা কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি। এসময় জনবলসহ বিভিন্ন সংকট ও প্রতিবন্ধকতার চিত্র তুলে ধরেন, রাজশাহী জেলা ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মাখনুম তাবাসসুম।
[৬] সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রাজশাহীর বাজারে নকল ওষুধ এটা নতুন কিছু বিষয় নই। তবে সম্প্রতি করোনাকালীন এটা বেড়েছে। আর এর সঙ্গে পুরো একটি চক্র জড়িয়ে আছে। উৎপাদক থেকে শুরু করে মেডিকেলের দালালসহ অসাধু ফার্মেসি ব্যবসায়ী চক্র এর সঙ্গে জড়িত।
[৭] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকল যে কোনো কিছুই ক্ষতিকর। আর তা যদি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হয় তবে তা রোগির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওষুধের বাজারেও নকলের দৌরাত্ম বাড়ছে। কিন্তু এর নিয়মিত তদারকির দায়িত্বে থাকা ওষুধ প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :