শাহীন খন্দকার ও মহসীন কবির: [২] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কয়েক ঘণ্টা আটক রেখে নির্যাতন করা হয়নি। সময় ও ডিবিসি টিভি
[৩] তিনি বলেন, এ ঘটনার সময় একজন সিনিয়র এডিশনাল সেক্রেটারি ও ডেপুটি সেক্রেটারি লেভেলের দুইজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিল, প্রথম তারাই ডিল করছে পরে যখন রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার বিষয়ে আসছে তখন তারা পুলিশ ডেকেছে।
[৪] তিনি বলেন, আমরা সব সময় আপনাদের সঙ্গে কো-অপারেট করেই কাজ করছি। আমরা সময় সময় আপনাদের সঙ্গে কথা বলি। এ বিষয়ে আমার যেটুকু বলার বলবো।
[৫] তিনি বলেন, কোনো নির্দোষ লোক সাজা পাক এটা আমি চাই না। দেশের ক্ষতি হোক এরকমটা আমরা চাই না। তিনি অপরাধ না করে থাকলে আইনের মাধ্যমেই তা প্রমাণ হবে। আমরা সব সাংবাদিকদের সম্মান করি। আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার চেষ্টা করি। আমার বাসার দরজায় আসলেও আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলি।
[৬] তিনি বলেন, রাশিয়া ও চীনের টিকা সংক্রান্ত চুক্তির নথির ছবি তুলেছেন সাংবাদিক রোজিনা। এটা ঠিক হয়নি। টিকা নিয়ে অপ্রকাশযোগ্য চুক্তির ছবি তোলেন সাংবাদিক রোজিনা। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে টিকা নিয়ে সম্পাদিত অপ্রকাশযোগ্য ছবি। সেসব তথ্য প্রকাশ হলে টিকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হতো বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
[৭] সাংবাদিক রোজিনার পূর্বের কোনো সংবাদের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি না বলে সরকারি ফাইল নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেগুলোর ছবি তুলছিলেন। অনুমতি ছাড়াই ওই রুমে প্রবেশ করেছেন। এগুলো রাষ্ট্রীয় গোপন বিষয়। তিনি অন্যায় করেছেন। একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিক রোজিনার গলা চেপে ধরেছিলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। তবে আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি একজন অতিরিক্ত সচিব। আমাকে তিনি টেলিফোনে বলেছেন, তিনি রোজিনাকে শারীরিক নির্যাতন করেননি। বরং রোজিনা তার উপর হামলা করেছিল। ঘটনার পর রোজিনাকে যখন আটকানোর চেষ্টা করা হয় তখন তিনি ওই অতিরিক্ত সচিবকে খামচি দিয়েছেন, থাপ্পড় মেরেছেন। এরপর পুলিশ আসলে তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :