তাপসী রাবেয়া: [২] স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আল্লাহ সবসময় সহযোগিতা করে এবং আল্লাহ মানুষকে কিছু কাজ দেয়। সে কাজটি যতক্ষণ শেষ না হয় ততক্ষণ কিন্তু আল্লাহ তাকে রক্ষা করে।
[৩] তিনি বলেন, স্বাধীনতা কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। স্বাধীনতাকে সফল করতেই হবে। এই প্রতিজ্ঞা সবসময় আমার আর রেহানার ছিল। দেশে আসার পর আমাদের অনেক ঝড়-ঝাপটা পার হতে হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
[৪] সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে ১৯৮১ সালে ১৭ ই মে স্বদেশে ফেরার স্মৃতিচারণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে যুক্ত ছিলেন।
[৫] যারা ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছিলেন, যারা দলের সভাপতি নির্বাচিত করেছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৬] দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দলের সেই সময়কার নেতাকর্মীসহ যারা সঙ্গে থেকে কাজ করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ফিরে আসার ব্যাপারে সব থেকে আগে স্টেটমেন্ট দেয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদের। সে তখন ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট। আর যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আমাদের আমির হোসেন আমু। যুবলীগের পক্ষ থেকে তারা দিয়েছিলেন। আর পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে এই কথাটা তুলেছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী। যদিও তিনি পরে অন্য দলে চলে যান। কিন্তু তিনিই প্রথম আমার আর রেহানার দেশে আসার বিষয়টা তিনি তুলেছিলেন।’
[৭] বাংলাদেশে ফেরার পর বিভিন্ন সময় তার ওপর হামলা করে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেদিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, এগিয়ে যাবে; সেটি আশা করি।’ পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।