মো.ইউসুফ মিয়া : [২] রোববার সকাল ৭.৩৫ থেকে শিশুটি নিখোঁজ।
[৩] এলাকাবাসী জানান, সাজুরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে অজ্ঞাত একজন লোক মোটরসাইকেলে মুরছালিন কে সরিষা বাজারের দিকে নিয়ে যায়। আমরা ভেবেছি হয়তো তার আত্মীয়স্বজন ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে এসেছে তাদের বাসায়।
[৪] মুরছালিন এর বাবা নবাব মন্ডল বলেন, সকালে আমি আমার ছোট ছেলে মোঃ মুরসালিন কে নিয়ে পাংশা থানা দিন সাজুরিয়া গ্রামে আমার বাবার পুরাতন বাড়িতে যাই এবং ওই বাড়িতে আমার ছেলেকে রাখিয়া মাঠের জমি দেখতে চাই। আমার নতুন বাড়ী হইতে আমার বাবার বাড়ির দূরত্ব আনুমানিক ২০০ গজ হইবে।
[৫] জমি দেখা শেষ করিয়া আমি সরিষা বাজারে যাই এবং বাজার হইতে সকাল আনুমানিক ৮:০০ ঘটিকার সময় আমি আমার নতুন বাড়িতে আসিয়া আমার স্ত্রী খুশি খাতুনকে জিজ্ঞাসা করি মুরসালিন তার দাদার বাড়ি থেকে আসেনি এখনো। আমার স্ত্রী জানাই যে মুরসালিন বাড়িতে আসেনি এখনো। তখন আমি মুরসালিনকে আনতে আমার বাবার পুরাতন বাড়িতে যাই।
[৬] আমার বাবার কাছে জিজ্ঞাসা করি মুরসালিন কোথায়। বাবা বলেন মুরসালিন সকালে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে চলে গিয়েছে। আমার ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন মুরসালিন কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।
[৭] খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে আমার পাশের বাড়ির মোঃ বশির উদ্দিনের ছেলে মোঃ কাওছার (০৭) এর নিকট হতে জানতে পারি, সাজুরিয়া গ্রামের ইউনুস মোল্লা বাড়ীর সামনে পাকা অজ্ঞাতনামা একজন লোক আমার ছেলেকে তাহার মোটরসাইকেলে উঠাইয়া সরিষা বাজারের দিকে নিয়ে গিয়েছে।
[৮] তখন আমার ছেলেকে খোঁজার জন্য বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করি এবং আমার নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনদের নিকট ঘটনা বিস্তারিত বলি। আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন ও নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজন আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু কোথাও আমার ছেলেকে পাওয়া যায় নাই। আমার ধারণা অজ্ঞাত নামা মানব পাচারের অপরাধ সংঘটনের লোক আমার ছেলেকে কৌশলে তার মোটরসাইকেলে উঠাইয়া অপরহণ করিয়া নিয়ে গিয়েছে।আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করিয়া না পাইয়া পাংশা মডেল থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করি।
[৯] পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, অভিযোগের পর থেকে আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং বিষয় তদন্ত করে দেখছি।এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানায় অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ