মাসুদ আলম: [২] স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গত বুধবার ৫ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে চট্রগাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল তার বাসার যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, সেটি ভুল ছিলো। পরে পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল বাসার আসল ঠিকানা দেন। তবে সেই বাসায়ও বাবুলের দুই সন্তানকে পাওয়া যায়নি।
[৩] চট্রগ্রাম পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো ছেলে মাহির। বাবুল আক্তারের রিমান্ড শেষ হওয়ার পরই ছেলের সঙ্গে কথা বলা হবে। বাবুল ও মিতুর দুই সন্তান কাদের অভিভাবকত্বে থাকবে সেটা পিবিআই নির্ধারণের এখতিয়ার নেই। এটা নির্ধারণ করবে আদালত। অথবা দুই পরিবার নিজেরা আলোচনা করেও সমাধান করতে পারে। সন্তানদের নিয়ে বিচলিত বাবুল, কথাও বলছেন কম।
[৪] তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানায়, বাবুলকে গ্রেপ্তারের দিনই তার বর্তমান স্ত্রী বাবুল ও মিতুর দুই সন্তানকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন। বাবুল আক্তারের আত্মীয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে বাচ্চাদের মনে কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। রিমান্ডে বাবুল যেসব তথ্য দিচ্ছে তা যাচাই বাচাই করে দেখা হচ্ছে। মিতু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বাবুল তেমন কোনো তথ্য দিচ্ছে না। হত্যাকাণ্ডে কারা কারা অংশ নিয়েছিলো তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এছাড়া বাবুলের ব্যক্তিগত সোর্স মুসার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
[৫] মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনার দিন মিতুর মোবাইলে একটি ভুয়া মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয় ছেলে মাহির স্কুল ৮টার পরিবর্তে সাড়ে ৭টায়। সেটি পাঠিয়েছিলো বাবুল। যাতে বাসা থেকে তাড়াতাড়ি বের হন মিতু। কারণ মিতু যে বাসায় থাকতেন সেই বাসার আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী মাহির সঙ্গে একই স্কুলে পড়তো। তারা প্রায় সময় একই সঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করতো। মিতুর সন্তানদের তিন বছর ধরে তাদের (নানা নানি) সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাবুল গ্রেপ্তারের পর মিতুর দুই সন্তানকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। মিতু হত্যার প্রতক্ষদর্শী তার ছেলে। ওই দুই সন্তানের দায়িত্ব নিতে যান মোশারফ।
[৬] ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হয়েছিলেন মিতু। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :