শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে চলতি বছর এপ্রিলের ২ তারিখ থেকে বন্ধ রয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। গত বছরও প্রায় ৪ মাস বন্ধ ছিলো, ফলে চিড়িয়াখানায় প্রাণিকূলের প্রজনন ক্ষমতা বেড়েছে।
[৩] ডা. মো. আব্দুল লতিফ জানালেন, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এপ্রিলের শুরু থেকে মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৪২ টি নতুণ প্রাণী জন্ম নিয়েছে। এরমধ্যে জেব্রা দুটি, আফ্রিকান প্রজাতির ঘোড়া ২টি, জলহস্তি ১টি, বানর ২, ইমু পাখী ২ টি, ময়ুর ১৪ টি আর হরিণ ৩০টি এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে তিনটি করে বাচ্চা দিয়েছে চিত্রা হরিণ।
[৪] চিড়িয়াখানার পরিচালক বলেন, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকায় প্রাণিকূলকে কেউ বিরক্ত করছে না। তারা নিজেদের মতো করে খাবার খেয়ে আরাম-আয়েশে সঙ্গীদের নিয়ে দিন পার করছে। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সব প্রাণিরই প্রজনন বেড়েছে।
[৫] গত কয়েক মাস আগে মা হরিণগুলো অনেক বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। সবমিলিয়ে চিড়িয়াখানার তিনটি শেডে বর্তমানে ৩১৮টি হরিণ রয়েছে। চিড়িয়াখানার এসব শেডে সর্বসাকুল্যে ৩০০ হরিণের অবাধ বিচরণের সুযোগ রয়েছে। এ জন্য কিছু হরিণ দ্রুত বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
[৬] বিক্রির জন্য নির্ধারিত হরিণ শাবকগুলোর সরকারি মূল্য প্রতি জোড়া ১লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে এই মূল্য আরও কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। যেহেতু হরিণের নিয়মিত প্রজনন হচ্ছে, তাই প্রতিমাসে অন্তত ২০টি হরিণ শাবক বিক্রি করতে সক্ষম হবে তারা।
[৭] অন্যদিকে চিড়িয়াখানায় ৭৮টি নীল ময়ূর বিক্রি করা হবে। বিরল প্রজাতির অন্যান্য পাখির স্থান সংকুলানের জন্য এগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একজোড়া ময়ুর বিক্রি হবে ৫০ হাজার টাকায়। এর মাধ্যমে এই পাখির বিস্তৃতি বাড়বে। মানুষ নীল ময়ূর সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব খাতে আয়ও বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
[৮] ডা. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, জাতীয় চিড়িয়াখানা মূলত দেশ-বিদেশের প্রাণি প্রর্দশনের স্থান, এটি খামার নয়। ফলে অতিরিক্ত পশু-পাখি বিক্রি করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, পশু-পাখি নিয়মিত বাচ্চা দিচ্ছে। এ কারণে প্রথম ধাপে হরিণ ও নীল ময়ূর বিক্রি করা হবে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :