রাশিদুল ইসলাম : [২] ফিলিস্তিনের গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি জঙ্গিবিমানের হামলায় আট শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার খুব ভোরে শরণার্থী শিবিরে বোমা ফেলা হয়। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, এই বর্বর হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রেসটিভি
[৩] গাজার আশ-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক নাবিল আবু আর-রিশ বলেছেন, আহতদের মধ্যে একটি নবজাতকও রয়েছে। এছাড়া আবু হাতাব পরিবারের বাসভবনটির ধ্বংসাবশেষের নিচে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, এটা শতভাগ গণহত্যা।
[৪] ইসরাইলি হামলা প্রসঙ্গে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, কোনো ধরণের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সেখানে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ভবনটিকে পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[৫] ইয়েমেনের সর্বোচ্চ বিপ্লবী পরিষদের প্রধান মোহাম্মাদ আলী আল হুথি সৌদি আরবের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ ও আগ্রাসন বন্ধ করে দখলদার ইসরায়েলে হামলা করুন। তাহলে আমরা আর পাল্টা জবাব দেব না।
[৬] তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা ও আগ্রাসনের বিষয়ে সৌদি আরব কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাচ্ছে না, কোনো পদক্ষেপই তাদের পক্ষ থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আমি সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা ইয়েমেনে বোমা হামলার বদলে ইসরাইলে কয়েকটি বোমা ফেলুন। আপনারা যদি এটা করেন তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের পাল্টা হামলা বন্ধ করে দেব। এমনকি আপনারা আমাদের ওপর হামলা অব্যাহত রাখলেও আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাব না।
[৭] এদিকে ইরানের বিচারবিভাগের মানবাধিকার বিষয়ক দফতরের মহাসচিব আলী বাকেরি কানি প্রশ্ন করেছেন, ইসরায়েল আর কত অপরাধ করলে মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি’র জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে? তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজায় যে বর্বরোচিত আগ্রাসন চালাচ্ছে তা মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধ এবং বংশ নিধনযোগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ইসরায়েল গাজার আবাসিক এলাকা একের পর এক ধ্বংস করে চলেছে। বড় বড় ভবনে বোমা হামলা চালিয়ে এক জায়গায় নারী, শিশু, বয়স্ক মানুষকে হত্যা করছে। গাজার পানি, বিদ্যুত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে।