রহিদুল খান : [২] আত্মহত্যা নয়, যশোরের চৌগাছায় আহাদ আলীকে হত্যা করেছেন একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন (১৯)। বাবাকে কেন, কিভাবে খুন করেছে তা আদালতে স্বিকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক তার জবানবন্দি গ্রহন শেষে মা ছেলে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
[৩] এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দূর্গাবরকাটি গ্রামের নিজ ঘর থেকে আহাদ আলীর (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহাদ আলী একসময় ট্রাক চালাতেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী জেসমিন ও ছেলেকে আটক করে পুলিশ।
[৪] আদালতে সোহান জানান, তার বাবা ক্যান্সারের রোগী। এছাড়া নানা রোগে ভুগছিলেন। সবার সাথে তিনি বদমেজাজে কথা বলতেন। তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতেন। এসব বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার রাতে একা ঘুমিয়ে ছিলেন বাবা। ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল। বাঁশের মাথায় ছুরি বেঁধে জানালার ফাঁক দিয়ে রাতে বাবাকে ছুরির আঘাতে হত্যা করে। পরে সেই ছুরি ঘরের মেঝেতে পুতে রাখেন।
[৫] এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে স্বজনেরা ডাক দেয়। সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারা দেখে, আহাদ আলীর বুকে ছুরি মারা এবং শরীর রক্তাক্ত। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশের সন্দেহ হয় এ হত্যাকাণ্ডে পরিবারের লোকজন জড়িত। ওই দুইজনকে আটক করে পরে সোহানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বাড়ি থেকে তার দেখানো স্থান থেকে রক্তমাখা ছুরি ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বাঁশের লগি উদ্ধার করে।
[৬] বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবেদ আলী চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :