মাসুদ আলম : [২] মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল গ্রেপ্তারের পর তার নানা অপকর্ম বের হতে শুরু হয়েছে। মাহমুদা খানম মিতু হত্যার পর আরও তিনটি বিয়ে করেন তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। এর মধ্যে দু'জনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, বর্তমানে একজনের সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মদপুরে থাকতেন । এছাড়া একডজন নারীর সঙ্গে পরকীয়া ছিলো তার।
[৩] তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে বাবুল আক্তার যখন কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তখন ভারতীয় নাগরিক এক এনজিওর অফিসারের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে ঝগড়া হয়। মৃত্যুর আগে মিতু বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন। পারিবারিকভাবে তারা বিষয়টি সমাধানেরও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হননি। একপর্যায়ে বাবুল ও ওই নারী মিতুকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
[৪] তিনি বলেন, মিতু হত্যার সন্তানরা যাতে জানতে পারে বাবুলই মিতুর খুনি, সেকারণে তার সন্তানদের সঙ্গেও বাবুল মিতুর বাবা-মাকে দেখা করতে দেননি। মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে চান তার বাবা-মা। বাবুলকে এমন শাস্তি দেওয়া হোক যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। তাদের মতো আর যেন কোনো বাবা-মার বুক খালি না হয়। বাবুল মোহাম্মদপুর বাসার যে ঠিকানা দিয়েছে তাও ভুয়া।
[৫] মিতুর বাবা আরও বলেন, মিতু মারা যাওয়ার পর বাবুল যেভাবে ভেঙে পড়ার অভিনয় করে তাতে আমরাও দুঃখ প্রকাশ করি। তবে তার সব অভিনয় আস্তে আস্তে ফাঁস হয়ে যায়। কারণ মিতু মারা যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে বাবুল এক মেয়েকে বিয়ে করে। তার সঙ্গে ঢাকার মগবাজারে আড়াই বছর সংসার করে। এরপর মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর বাবুলের সঙ্গে খুলনার এক মেয়ের বিয়ে হয়। তাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরে তিনমাস ভাড়া থাকে বাবুল। এরপর সেই মেয়ের সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কয়েকমাস আগে সে কুমিল্লার এক প্রকৌশলীর স্ত্রীকে বিয়ে করে। এ ছাড়াও বাবুল আক্তারের সঙ্গে ঝিনাইদহের এক এসআইয়ের স্ত্রীর সম্পর্ক ছিলো। মিতুর ছোটবোনের দিকেও বাবুল নজর ছিলো
[৬]২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। ঘটনার পর বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :