ফাতেমা আহমেদ : [২] সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের প্রায় শতাধিক স্থানে ঈদসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার। সে অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজও অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়াসহ আশপাশের উপজেলার ৬০টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। এছাড়াও লক্ষ্নীপুরের ১১টি গ্রামে, পটুয়াখালীর কয়েকটি গ্রামে, শরীয়তপুরের প্রায় ২৫টি গ্রামের লোকজন সুরেশ্বর দরবার শরীফে আজ ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করেছে। সকাল থেকে ঈদের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে শিশু-কিশোরসহ এসব গ্রামের মানুষের মাঝে।
[৩] এছাড়া দিনাজপুরসহ জেলার আরো কয়েকটি উপজেলায় ৪০টি গ্রামের মুসল্লি সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। জেলার চিরিরবন্দরের অমরপুর, ইসুবপুর, কাহারোল উপজেলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন তারা। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
[৪] মুন্সিগঞ্জের ৯টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরা একাংশ। গ্রামগুলোর জাহাগীর তরিকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এবারও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করছে। সকাল ৯টায় খোলা মাঠে স্থানীয় ঈদগায়ে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোলাকুলিসহ আনন্দে মেতে উঠেন গ্রামবাসী। সূত্র : সময় টিভি অনলাইন, আরটিভি অনলাইন, ডেইলি-বাংলাদেশ, জাগোনিউজ, চ্যানেল ২৪, বাঙ্গি নিউজ।