শিরোনাম
◈ বাংলাদেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ ১৮ দেশে, স্থিতি ৩৫ কোটি ডলার ◈ ‘সুসম্পর্কই লক্ষ্য’ — বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বার্তা দিলেন রাজনাথ সিং ◈ অভ্যুত্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল ছিল: হিন্দুস্তান টাইমসকে হাসিনা ◈ বিড়াল হত্যাকারী সেই নারী গ্রেপ্তার ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়া জরুরি: জামায়াত আমির ◈ ৫ আগস্টের পর ছাত্ররা ভুল করেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা যাবে ভারতের হাতে: ফরহাদ মজহার ◈ মির্জা আজম বলেন, “সালামান তো বলল পাঠাবে, জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ও তো উল্টা টাকা চায় (অডিও) ◈ রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার ◈ বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত, সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন ◈ সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক করল আইএসপিআর

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২১, ১০:১১ দুপুর
আপডেট : ১২ মে, ২০২১, ১০:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রেমের ফাঁদ পেতে জিম্মি করে টাকা আদায়; গ্রেপ্তার চক্রের ৬ সদস্য

ডেস্ক রিপোর্ট: বন্ধুত্ব বা প্রেমের অভিনয় করে কৌশলে ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া। তারপর মারধর করে নারীদের সাথে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল। চাহিদা মতো টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়ে ছবি-ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে আবার ব্ল্যাক মেইল। টাকা না পেলে ছড়িয়ে দেয়া হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনই এক চক্রের তিন নারী সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।ডিবিসি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বছর খানেক আগে লামিসা ও সারা নামে দুজনের সাথে পরিচয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর। বন্ধুত্বের সম্পর্কে আসে বিশ্বস্ততা। ইফতারের দাওয়াত দিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় ফ্ল্যাটে। তারপর আগে থেকেই প্রস্তুত চক্রের পুরুষ সদস্যরা হাজির হয়ে ভুক্তভোগীকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে মারধর করে। পোশাক খুলে করে ভিডিও। এসময় চক্রের নারী সদস্যরা অভিনয় করে ভুক্তভোগীর।

অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে চাঁদা দাবি করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কয়েক দফায় চক্রটি হাতিয়ে নেয় প্রায় দুই লাখ টাকা। পরে চক্রের হাতে থাকা ছবি ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে আবার দাবি করে পঞ্চাশ হাজার টাকা।

ভুক্তভোগী জানান,'আমি টাকা দিয়ে সাতটার সময় ওখান থেকে বের হই। ওরা আমাকে বলে ভিডিওগুলো ডিলিট করতে হলে আরও টাকা লাগবে। ওরা আমরা কাছে আরও ৮০ হাজার টাকা চায়। আমি অনেক দরকষাকষি করে বললাম আমি ৩০ হাজার টাকা দেই? ওর রাজি হয়, পরে বলে আরও দশ হাজার টাকা লাগবে।'

ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর রমনা ও খিলগাঁও এলাকা থেকে তিন নারী সদস্যসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও চক্রের আরো বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (গোয়েন্দা) উপ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন,'চক্রে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই কাজ করে। যখন ভিক্টিম কোন মেয়ের কাছে যায়, তখন সে অভিনয় করে যে সে অন্যদের চিনে না। এরকম তাদের কর্মকাণ্ড এবং অবাক করা বিষয় হলো, চক্রের প্রতিটি সদস্যের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তারা কোন না কোন কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটির ছাত্র অথবা ছাত্রী। তারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। উচ্চাবিলাসীতা তাদেরকে এ পথে টেনে নিয়ে এসেছে।'

প্রতারক চক্রের প্রায় সবাই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা এধরণের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরও বলেন,'এ ক্ষেত্রে ভিকটিমের অবশ্যই দায় আছে। একজন অপরিচিত ব্যক্তির সাথ আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হলো।। কিন্তু তার সঙ্গে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ হবার আগে আমাকে বিবেচনা করতে হবে, সে কতটুকু বিশ্বস্ত।'

ফাঁদ এড়াতে, লোভে না পড়তে, যেকোন সম্পর্কের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে পা দেয়ার পরামর্শ পুলিশের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়