রবিউল আলম: রাজনীতিতে কে কখন কার বন্ধু বোঝা মুশকিল। মিয়ানমারকে সুদীর্ঘকাল সামরিক শাসনের জাতাকল থেকে মুক্তির বার্তা দিয়েছিলো বিশ্ব, নেতৃত্বের অভাবে আবারও ফিরে যেতে হয়েছে সেই পুরনো রূপে। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে পাশে পেতে চায়, অং সান সুচির অযোগ্যতায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে বৈরিতায় এনে দিয়েছে। শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, নিরপেক্ষতা বহিঃবিশ্বের কূটকৌশলের মারপ্যাচে বাংলাদেশকে এখনো জড়াতে পারেনি। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে মিয়ানমার গণতন্ত্রের আন্দোলন, প্রতি আক্রমণ, আরাকানের স্বাধীনতায় ব্যবহৃত হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ভারতবিরোধী আসামের স্বাধীনতা আন্দোলনকেও না করেছে। বাংলার মাটি বিছিন্নতাবাদীদের জন্য নয়। তারেক রহমান দশ ট্রাক অস্ত্রের গ্লানি থেকে মুক্ত হতে বাঙালিকে অনেক মাসুল দিতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালিকে অনেক কিছু দিতে না পারলেও জীবন চলার স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রেখেছেন। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসন বিছিন্নবাদী হওয়া থেকে বিরত রেখেছেন, বিশ্ব ও বাঙালি জাতি মেনেও নিয়েছেন। জঙ্গিবাদের মরণছোবল এবং তাদের রক্তচক্ষু এড়াতে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হবে। সচেষ্ট হতে হবে করোনার মরণছোবল থেকে দেশকে রক্ষার জন্য। ফেরিঘাটে জনসমাগম দেখে অবাক হচ্ছি, সচেতনতার নমুনা দেখে।
ভারতের চিতার আগুন, কবরের জন্য হাহাকার বাংলার মানুষকে এতোটুকু সচেতন করতে পারছে না। রাষ্ট্রের নির্দেশকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোনো জাতিই সঠিক পথ আবিষ্কার করতে পারেনি। ঈদ আমাদের জীবনে বারবার আসবে, জীবন একবার চলে গেলে কী ফিরে আসবে? বিশ্বের অনেক ধনী দেশ ভ্যাকসিনের অভাবে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ সে লক্ষে অনেক অগ্রগামী। সরকারকে একটু সময়তো দিতে হবে। সরকারের প্রশাসনিক কিছু ভুল সিদ্ধান্তও জনসমাগমের জন্য দায়ী আমি মনে করি। ফেরিঘাটে এতো লোকের সমাগমই প্রমাণ করে, সরকারের ব্যর্থতা আছে এখানে। কীভাবে লকডাউন উপেক্ষা করে ফেরিঘাট সয়লাব হয়েছে মানুষে মানুষে, তদন্ত করে ফিরতি পথের জন্য সাবধান হতে হবে। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :