বাশার নূরু: [২] প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত রাজনীতিক আ স ম আব্দুর রবকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি পাঠানো হয়েছিল। বিয়াল্লিশ বছর আগের সেই ঘটনা এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে, যখন সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করেছে সরকার।
[৩] বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, আবেদনটি নাকচ করার কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার বলেছে, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় আইনে তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও ১৯৭৯ সালে আ স ম আব্দুর রবকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ঘটনাকে। কিন্তু কিভাবে আ স ম আব্দুর রবকে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল, কী ছিল সেই ঘটনা? এ নিয়ে রব বলেছেন, তার দশ বছরের সাজা বহাল থাকা অবস্থাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেয়ার পর ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল কর্নেল আবু তাহের, আ স ম আব্দুর রবসহ জাসদের ১৭জন নেতাকে। তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর ১৯৭৬ এর জুলাই মাসেই সামরিক আদালতের বিচারে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আর আ স ম আব্দুর রবের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জাসদের অন্য নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল হয়েছিল। সামরিক আদালতের রায় অনুযায়ী আ স ম আব্দুর রব জেল খাটছিলেন। ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে আ স ম আব্দুর রব অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তার অসুস্থতা গুরুতর হয়, তখন ব্রেইন টিউমার হয়েছে, এমন আশংকা করা হয়েছিল।
[৫] আ স ম রব বলেন, ‘অবস্থা গুরুতর হলে আমার সাজা মওকুফ না করেই আমাকে ১৯৭৯ সালের পহেলা মে চিকিৎসার জন্য তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে পাঠানো হয়। তখন সরকার জরুরি ভিত্তিতে তার পাসপোর্ট করে দিয়েছিলো। চিকিৎসা শেষ করেন ১৯৮০ সালের পহেলা মে ঢাকায় ফেরেন রব।