সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু: আমিও অন্য সবার মতো আমার মায়ের কোলে, মায়ের ছায়ায় বড় হয়েছি। আমার সেই মা আমার হাতে তুলে দেওয়া ছোট্ট এক চামচ পানির অর্ধেকটুকু মুখে নিয়ে আমার কোলে মাথা রেখেই পরলোকে চলে গেছেন। আমি তাঁর শেষ নিঃশ্বাসটা নিতে দেখেছি। ভীষণ কষ্টে মা আমার শেষ নিঃশ্বাসটা নিয়েছিলেন। আমার কষ্টের এই কথা, অনুভূতিগুলো কাউকে বলতে পারিনি, বলার মতো সুযোগ হয়নি। অদৃশ্য জড়তার জালে বারবার আটকে গেছি। সব সন্তানের মতো আমারও মায়ের জন্য বুকভরা ভালোবাসা ছিলো, কিন্তু কোনোদিন মুখ ফুটে মাকে বলা হয়নি, মা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
২৬ বছর আগে মা আমার চলে গেছে। মা নেই। এখন বুঝি বুকের গভীরে জমে থাকা না বলা কথাগুলো বলবার জন্য মা দিবসের মতন এমন দিবসের প্রয়োজন আছে। মা দিবসে সবাই মায়ের ছবি দিচ্ছে, মাকে নিয়ে লিখছে বলেই আমিও একা, নির্জনে বসে আমার মাকে নিয়ে এ কথাগুলো লিখছি, নইলে হয়তো লেখা হতো না। অনেকেই ‘মা’কে নিয়ে এমন দিবস মন থেকে পছন্দ করেন না। কিন্তু আমি করি। কারণ এমন না যে, এই দিবসে মাকে নিয়ে লিখলে, মাকে ভালোবাসার কথা জানালে সারা বছর মাকে আর ভালোবাসা যাবে না।
যে মানুষ তার মাকে ভালোবাসে সে সারাবছরই ভালোবাসে। মা দিবস তাতে দেয়াল তোলে না। বছরে একটা দিন না হয় মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসুক সবাই, ক্ষতিতো নেই। আমার বিশ্বাস আমাদের মায়েরা মুখ ফুটে না বললেও এমন দিনে সন্তানের মুখ থেকে, লেখা থেকে, ভালোবাসার কথা শুনলে, ছোট্ট একটি লাল গোলাপের শুভেচ্ছা পেলে খুশিই হবেন। আমি নিশ্চিত আমার মা বেঁচে থাকলে আমার কাছ থেকে ‘মা,আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি’ কথাটি শুনলে আনন্দ চেপে রেখে মিটটমিট করে হাসতেন। এ হাসির মূল্য সাতরাজার ধনের চেয়েও বেশি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :