ডা. রুমি আহমেদ খান : ব্যাপারটাকে ক্রিকেটীয় ভাষায় বুঝতে চেষ্টা করি। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি বাংলাদেশে আসেনি? এসেছে। অনেক আগেই এসেছে। ভ্যারিয়েন্টটা প্রথম আইডেন্টিফাইড হয় গত অক্টবর মাসের পাঁচ তারিখে মহারাষ্ট্রের একটা স্যাম্পল থেকে। তার মানে ভ্যারিয়েন্টটা সার্কুলেট করছে আরো আগে থেকেই। এতো দিনে বাংলাদেশে না এসে পারে না। আর সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টটাও ডিসকভার হয়, একইসময়ে সাউথ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ-এর নেলসন মেন্ডেলা বে তে । আর ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাজ্যের কেন্টে ডিসকভার হয় নভেম্বর মাসে।
সম্প্রতি ঢাকার মাঠে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। এই সিরিজে ইংল্যান্ড প্রথম প্রথম ভালো করলেও পরে সাউথ আফ্রিকা পুরো ডমিনেট করেছে। ইংল্যান্ড শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছে। ঢাকার মাঠে ভারতীয় টিম পাত্তাই পায়নি। কাগজে কলমে কিন্তু ইংল্যান্ড টিম সবচেয়ে শক্তিশালী। ইউরোপিয়ান, নর্থ আমেরিকান টুর্নামেন্টে ও কাউন্টি লীগ ওদের রেকর্ড ঈর্ষণীয় ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
ভারতের নিজের মাটিতে এখন যে সিরিজটা হচ্ছে- তাতে ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা বেশ ভালোভাবেই শুরু করেছিলো। ওরাই টুর্নামেন্ট লিড করছিলো। কিন্তু ভারত যা সবসময় করে, হোম গ্রাউণ্ড এডভান্টেজ (যেমন কুম্ভ মেলা/রামাদান) নিয়ে ইংল্যান্ড আর সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টকে অনেক পিছিয়ে ফেলে এখন পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আছে! এখন নেপালে যে ট্রাই নেশন সিরিজটা শুরু হয়েছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে ভারত একচেটিয়া খেলছে। ঈদের পর পর বাংলাদেশে আরেকটা ট্রাইনেশন টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। জাতি রুদ্ধশাসে অপেক্ষা করছেÑ কে জেতে ওটাতে, তা দেখার জন্য। লেখক : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ