শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২১, ০২:৪২ রাত
আপডেট : ১০ মে, ২০২১, ০২:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যায়নুদ্দিন সানী: রকমারি খুব দুষ্টু

যায়নুদ্দিন সানী : এদেশের নামী দামী রাইটার বাহিনী দেখলাম রকমারীর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে। ‘রকমারি পচা’। নিজেদের বই বিক্রি না হওয়ার রাগ এরা ঝাড়ছে, এই অনলাইন বইয়ের দোকানটির ওপর। অ্যাজ ইফ, এই দোকানটা না থাকলে তাদের বই দেদারসে বিক্রি হতো। যাই হোক, মূল আইডিয়াটা কার জানি না, তবে বেশ কো অর্ডিনেটেড ইফোর্ট চোখে পড়ছে। জনে জনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রসব করছে। মূল বক্তব্য একই। রকমারীর আসল উদ্দেশ্য ব্যবসা করা না। আরও গভীর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আছে এই প্রতিষ্ঠান। কাহিনী এখানেই থেমে নেই। আকাশ বাতাস থেকে যুক্তি এনে হাজির করে প্রমাণ করে দিচ্ছে, ব্যবসার আড়ালে রকমারি আসলে...। রকমারির আসল উদ্দেশ্য নিয়ে যেসব ইনভেস্টিগেটিং রিপোর্ট ঝাড়ছে, তাতে মনে হতে পারে শার্লক হোমস এখনও দুগ্ধ পোষ্য শিশু। কাজটা তারা কী এমনি এমনি করছে? কিংবা প্রশ্নটা যদি ঘুরিয়ে করি, ঠিক কবে থেকে এই গ্রুপ রকমারির ওপর বেজার হয়েছে? ঠিকঠাক বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এদেশে সেভাবে কোন বেস্ট সেলার লিস্ট কখনও হতো না। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কারণে রকমারির পক্ষে এখান থেকে কেনা বইয়ের একটা সর্টেড লিস্ট দেয়া বেশ সহজ একটা ব্যাপার। কাজটা তারা বিভিন্ন হেডিং এ ই করে থাকে। অনুবাদের টপ টেন, কিংবা উপন্যাসের টপ টেন। এভাবে একবার সম্ভবতঃ সর্বাধিক বিক্রিত হয়েছিলো ‘বান্ধবী’। সেবার ওরা সহ্য করে নেয়। তবে এবার, সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় যখন বইমেলার পরে রকমারীর প্রকাশিত ‘আলো ছড়িয়েছেন যারা’ শিরোনামের অ্যাড ক্যাম্পেইনে তাদের কারো নাম না এসে আসে সব হুজুর কিসিমের রাইটারদের নাম। ব্যাস আর যায় কোথায়... বাংলা ভাষা, সাহিত্য সব প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস তারা পেয়ে যান। এরপরে শুরু হয় তাদের জেহাদ। স্ট্যাটাস জেহাদ।

তাদের স্ট্যাটাস পড়ে মনে হলো, ‘আলো ছড়িয়েছেন’ শব্দ দুটোতে বেশি খেপেছে। ‘আলো ছড়ানো’ শব্দদুটোর ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য তাদের। তারা ছাড়া আর কারো ক্ষমতা নেই ‘আলো ছড়াবার’। সূর্যের পরে যা কিছু নিজস্ব আলো এই সৌরমণ্ডলে আছে, তা আছে তাদের দখলে। তাহলে অন্য কেউ আলো ছড়ালো কিভাবে? তাদের দ্বিতীয় আপত্তি, ইসলামি বই কেন বেস্ট সেলার হবে। এসব বইয়ের বেস্ট সেলার লিস্টে আসা নিয়ে এদের অভিমান একেবারে বাচ্চা কাচ্চাদের লেভেলের, ‘তোমার আব্বুর চেয়ে আমার আব্বু ভালো’। গোসসাটা হয়তোবা হজম করে ফেলতো, কিন্তু যখন দেখল, আরিফ আজাদের বইকে সাহিত্য বলা হচ্ছে, তখন এদের ঘুম হারাম হওয়ার যোগাড় হয়েছে। গ্রেট। এনিওয়ে, কে কিভাবে রিয়াক্ট করবে, সেটা তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা। সেই হিসেবে ওদের স্ট্যাটাস দেখে, পাবলিক কি বুঝবে, সেটাও তাদের অধিকারে পরে। ওরা যেটা বুঝতে পারছে না, সেটা হচ্ছে, এসব নাকি কান্না টাইপ স্ট্যাটাস দেখে পাবলিক ঠিকই বুঝছে, তারা ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’ সিন্ড্রোমে ভুগছে। বাট সেটা বোঝার মতো ঘিলুও তাদের নেই, আর অন্য কেউ যে বলবে, সে অপশানও তারা রাখেনি। বলতে গেলে তেড়ে আসবে, আর বানিয়ে দেবে বিএনপি। তর্ক করলে বানী নাজিল হবে, ‘ল্যাঞ্জা ইজ ডিফিকাল্ট টু হাইড। সো, এই গবেটদের সঙ্গে তর্কে যাওয়ার দরকার নেই। বরং, লেটস এঞ্জয় দ্যা শো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়