শিরোনাম
◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত ◈ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার ◈ ইন্টার মিলা‌নের জয়, জোড়া গোল করে ইতিহাস লাউতারোর ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের মঙ্গলবারও কর্মবিরতি, হবে না বার্ষিক পরীক্ষা ◈ ২০২৬ থেকে বাধ্যতামূলক সিবিএমএস: বন্ড ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ডিজিটাল যুগে এনবিআর

প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২১, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ১০ মে, ২০২১, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অবশেষে মৃত থেকে ‘জীবিত’ হলেন তাঁরা ৮জন

নিউজ ডেস্ক : রাজশাহীর বাগমারার আলোকনগর গ্রামের নূর মোহাম্মদ শেখের নাম অবশেষে ভোটার তালিকায় উঠেছে। তাঁকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এতে তিনি ভোগান্তিতে পড়েন।

নূর মোহাম্মদসহ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া মোট আটজনকে পুনরায় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বাগমারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে এসেছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মার্চ মাসে উপজেলার ভানসিপাড়া গ্রামের ছফুরা বিবি, খালিশপাড়ার ছাহেরা বিবি, মোহনপুরের এহেরজান বেওয়া, সাঁইপাড়ার আনিছুর রহমান, জাঙ্গালপাড়ার মরিজান বিবি, চকসেউজবাড়ির আহম্মদ আলী, মোহাম্মদপুরের তমির উদ্দিন ও আলোকনগর গ্রামের নূর মোহাম্মদ শেখ জানতে পারেন, ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম নেই। মৃত দেখিয়ে তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের কয়েকজন বয়স্ক ও বিধবাভাতার সুবিধাভোগী। ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় অনলাইনে সুবিধাভোগী হিসেবে তাঁদের নাম নিবন্ধন হয়নি। এ কারণে তাঁদের ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ভুক্তভোগীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেন। পরে তাঁরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে এসে নিজের জীবিত থাকার প্রমাণপত্র দেখান। তাঁরা পুনরায় ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানান।

ভুক্তভোগীদের একজন আহম্মদ আলী বলেন, তাঁকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। এতে ভাতা পেতে সমস্যা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই বছর আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় এই আট জীবিত ব্যক্তিকে তালিকায় মৃত দেখানো হয়। এই তালিকা ইউনিয়ন পরিষদেও পাঠানো হয়েছিল। তবে ওই সময় কেউ যাচাই করেননি। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে গত ২৮ মার্চ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। পরে তাঁদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, শিক্ষকেরা সাধারণত ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করেন। তাঁরা নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত করেন এবং মৃত ব্যক্তিদের বাদ দেন। তথ্যদাতারা ভুল তথ্য দিতে পারেন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লিখতে গিয়ে কোনো সংখ্যার গরমিল হয়ে থাকতে পারে। এসব কারণে এটি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন। এই ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত সমাধানে কমিশন আন্তরিক ও তৎপর। প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়