সুজন কৈরী: [২] গাজীপুর থেকে অপহরণের পর চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে নিয়ে হত্যার পর অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন দেওয়া সেই তরুণীকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত পল্লব বর্মণকে (৩৪) গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৩] রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের পাহাড়তলির একটি বাসা থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ২৬ দিন পর্যন্ত ওই তরুণীর কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে বেওয়ারিশ হিসেবে তরুণীর দাফন সম্পন্ন হয়।
[৪] তিনি বলেন, পরে একটি আলামতের সূত্র ধরে ওই তরুণীর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশের কাছে থাকা মেয়ের পরনের কাপড় দেখে ২৬ এপ্রিল মরদেহ শনাক্ত করেন বাবা। পরে এ বিষয়ে পাহাড়তলি থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। তরুণীর বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, গত ১৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় তার ২৮ বছর বয়সী মেয়েকে ওই এলাকার পল্লব বর্মণ নামের এক যুবক তাকে অপহরণ করে। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় এ নিয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
[৫] হাবিবুর রহমান জানান, তদন্তের ধারাবাহিকতায় পল্লব বর্মণের অবস্থান শনাক্ত করে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৬] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পল্লব জানিয়েছেন, পরকীয়ার জেরে ওই তরুণী পল্লবের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ২ মার্চ তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হলে বেলের শরবতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে তরুণীকে হত্যা করে পল্লব বর্মন। এরপর টাকা পয়সা নিয়ে ঘরের বাইরে তালা দিয়ে সে পালিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :