শিমুল মাহমুদ: [২] বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ও হতাশ বিএনপি।
[৩] রোববার (০৯মে) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিয়ে পরে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা নিঃসন্দেহে হতাশ। এই চিকিৎসা যথেষ্ট নয়।
[৪] দলটির মহাসচিব বলেন, যে ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছে, সে ধারাতেই তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারতো সরকার। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনের আসামিরা সাজা মওকুফের সুযোগ পেলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও বঞ্চিত হন খালেদা জিয়া।
[৫] বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনের মধ্যেই যথেষ্ট পরিমান দণ্ড মওকুফের সুযোগ রয়েছে। খালেদা জিয়ার জন্য তাদের মানবতা কাজ করেনি, শিষ্টাচার কাজ করেনি। রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি। এটা প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।
[৬] দলীয় প্রধানের শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার কাছে বেটার মনে হল, অক্সিজেন ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। সাইন অব ইমপ্রুভমেন্ট।
[৭] রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবে কিনা এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরাতো আবেদন করিনি। এটা তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এবং শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
[৮] এর আগে, রোববার (৯ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কোনও সুযোগ নেই। এ জন্য খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের আবেদন আমরা মঞ্জুর করতে পারিনি।
[৯] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক কারণে ৪০১ ধারায় দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে তাঁর সুবিধা মতো চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বাসায় থেকে কিংবা সুবিধা মতো চিকিৎসা নিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হলে তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার আরেকটি আবেদন করেন বিদেশে নেওয়ার জন্য। সেটার আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখার জন্য আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। তারা মতামত দিয়েছেন, যে ধারায় তার দণ্ড স্থগিত রেখে চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেটা পুনরায় বিবেচনা করে বিদেশে পাঠানোর কোনও সুযোগ নেই। তাই আমরা তাদের আবেদনটি মঞ্জুর করতে পারছি না।’