আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ফুসফুসে করোনার প্রভাব নিয়ে এই গবেষণা করেছেন। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেনমিন হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের গড় বয়স ছিল ৬০ বছর। কগনেটিভ অনলাইন
[৩] এরা ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যানসার বা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত বা ধূমপায়ীদের এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। করোনা থেকে সুস্থ করতে যেসব রোগীর জন্য ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হয়েছিল, তাদেরও এই গবেষণায় রাখা হয়নি। ল্যানসেট
[৪] গবেষকেরা এসব ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেওয়ার পাশাপাশি শারীরিক পরীক্ষা, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা, ফুসফুসের কার্যকারিতা পরীক্ষা, ফুসফুসের সার্বিক ক্ষমতা, সিটি স্ক্যানসহ আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করেছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে এসব পরীক্ষা করা হয়। ৩, ৬, ৯ ও ১২ মাস পর অর্থাৎ হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর মোট চারবার এসব পরীক্ষা হয়েছে।
[৫] গবেষকেরা বলছেন, ১২ মাস পর অধিকাংশ রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন বলে মনে হলেও ৫০ শতাংশ রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা গেছে। এক বছর পরও এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তির ফুসফুসের কার্যকারিতায় কমতি দেখা গেছে।