আজম খান: ঢাকারে দিনের বেলা ওপর থেকে দেখলে কুৎসিত, ধূসর একটা শহর মনে হয়। যেখানে সবুজের ছোঁয়া অতি সামান্য। আমি যখন ঢাকা ছাড়ি তখনই গরমের চোটে টিকতে পারতাম না। ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা। কিন্তু শরীরে লাগতো ৩৮ ডিগ্রি। এখন তাপমাত্রা হয় ৩৮, কিন্তু শরীরে লাগে ৪৩। তাপমাত্রা ধাঁই ধাঁই করে বাড়তেছে। গরিব আর মধ্যবিত্ত অসহনীয় গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বহু মধ্যবিত্ত আছে অতিষ্ঠ হয়ে ধার-দেনা করে হলেও এসি কিনছেন। রাতে শোয়ার আগে একঘণ্টা এসি অন করে ঘর কিছুটা ঠাণ্ডা করে আবার অফ করে দেন বিদ্যুৎ বিল বাঁচাইতে।
এইটার অন্যতম কারণ একে একে ঢাকার পার্কগুলো বেদখল হয়েছে। খাল-নদীর পাড়ে কিছু গাছপালা ছিল সেগুলোও বেদখল। গরম বাড়ছে কিন্তু পলিসি মেকারদের এই নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। কারণ তাদের শরীরে এই গরম লাগে না। যারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট বানাচ্ছেন তাদের শরীরেও গরম লাগে না। হয়তো গরম অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, সেইটাও তারা জানে না। শীতল, এয়ারকন্ডিশন্ড ঘর, গাড়ি, অফিস থাকলে জানার কথাও না। ফেসবুক থেকে