আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] গভীর জঙ্গলে চলছে প্রশিক্ষণ, নেওয়া হচ্ছে জান্তা সরকারকে প্রতিরোধের প্রস্তুতি
[৩] মিয়ানমারের জঙ্গলের গহীনে গড়ে উঠেছে ছোট গ্রাম। সেখানে হাজারো স্বশস্ত্র নতুন রিক্রুটরা বন্দুকে মাস্কিং করে ক্রল করছেন। মাস্কিংয়ের উদ্দেশ্য, যেনো শব্দ বেশি দূর না যায়। এই মানুষগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছেন, নিজ দেশের সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ের, যাদের তারা অবৈধ বলে মনে করেন। সিএনএন
[৪] জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়াদের অনেকেই সিভিল ডিজঅবিডেন্স মুভমেন্ট এর সদস্য। হাজার হাজার হোয়াইট আর বøু কলার কর্মী বাহিনী, যাদের মধ্যে আছে চিকিৎসাকর্মী, শিক্ষক, প্রকৌশলী এবং কারখানা শ্রমিক, নিজ কাজ ছেড়ে দিয়ে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে লড়বার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[৫] তারা এখন জানতে চান, কিভাবে নিজেদের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্ষা করা যায়। সামরিক বাহিনী নিজ নাগরিকদেরই রাস্তায় হত্যা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যভহার করছে মর্টার আর রকেট প্রপেল্ড গ্রেনেড। তাই সীমান্ত এলাকায় জড়ো হয়েছেন সাধারণ মানুষ। নিজ দেশের জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোর কাছে শিখছেন, কিভাবে অস্ত্র চালাতে হয়। ৭০ বছর পর প্রথমবারের মতো বর্মি জনগোষ্ঠী আর আদিবাসী গোষ্ঠীগুলো একাট্টা হয়েছে।
[৬] কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অরগানাইজেশন-কেএনডিও’র চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল নেরডাহ বো ম্যা বেসিক ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করেছেন। তিনি বলেন, ‘জীবনকে রক্ষা করা দায়িত্বের আওতায় পড়ে। যেভাবে সেনারা বিক্ষোভকারীদের হত্যা করছে, প্রতিরোধ ছাড়া আর কোনও বিকল্প বাকি নেই।’