শাহীন খন্দকার: [২] প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সদ্য চালু হওয়া দেশের বৃহত্তম করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি।
[৩] প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয় গত ১৪ এপ্রিল, যা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। হাসপাতালের প্রায় ১৪০ জন চিকিৎসক ও নার্স চারটি ব্যাচে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কম্যুনিকেবল ডিজিস সেন্টার যৌথভাবে প্রতি ব্যাচে ২ জন করে প্রশিক্ষকের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ সেশন চালিয়ে নিচ্ছেন।
[৪] করোনাভাইরাসের বিবরণ, লক্ষণ, শনাক্ত ও কেস ভিত্তিক চিকিৎসার উপায়সহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ, চেস্ট রেডিওলজি এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য ইমেজিংয়ের ব্যবহার, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে চিকিৎসা ও করোনা পরবর্তী জটিলতা মোকাবিলা সম্পর্কে সম্মুখ জ্ঞান নিশ্চিত করা এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। ৪ মে থেকে পরবর্তী ব্যাচের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে আরও ৬ ব্যাচের মাধ্যমে ৪০০ চিকিৎসক এবং নার্সকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সামগ্রিকভাবে তৈরি করতে প্রকল্পটি বদ্ধ পরিকর।
[৫] মঙ্গলবার দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ অধিবেশন উদ্বোধন করেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন। ইউএসএআইডি’র মামনি মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্প ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টু কোভিড-১৯ প্যানডেমিক’ এর সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ।
[৬] বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২৮ কোটি ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৫ কোটি ডলারের বেশি প্রদান করেছে।
সম্পাদনা: মেহেদী হাসান