নূর মোহাম্মদ: [২] সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। আওয়ামী পন্থী আইনজীবীদের দাবি সাধারণ সভায় কন্ঠ ভোটে এ এম আমিন উদ্দিন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, হট্টগোলের কারণে বিশেষ সাধারণ সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।
[৩] মঙ্গলবার নির্ধারিত সাধারণ সভায় কে সভাপতিত্ব করবেন সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বারের সংবিধান অনুযায়ী আমি এ সভা পরিচালনা করবো। এসময় কয়েকজন বিরোধীতা শুরু করলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্লাহ দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন, তিনি সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
[৪] ব্যারিস্টার কাজল বলেন, উনাকে সভাপতিত্ব করার কোনো কার্যবিবরণী পাশ হয়নি। সিনিয়র আরেকজন সহসভাপতি আছেন। তখন শফিক উল্লাহ ডায়াসে দাড়িয়ে বলেন, আমি আজকের সভার সভাপতি। এই সভা থেকে ঘোষণা করছি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। তখন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা তাকে সমর্থন দেন। অপরদিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, কন্ঠ ভোট নয়, নির্বাচন চাই।
[৫] দুইপক্ষের হট্টগোলের একপর্যায়ে মিলনায়তনের বিদ্যুত ও মাইকের সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়। তখন সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সাধারণ সভা করার মত পরিবেশ-পরিস্থিতি না থাকায় সভা মুলতবি করা হলো।
[৬] সাধারণ সভা পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর সহ-সভাপতি শফিক উল্লাহর নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থি কার্যনির্বাহীর সদস্যরা রেজুলেশন পাশ করে এম আমিন উদ্দিনকে সভাপতি ঘোষণা করেছেন। তবে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোন আলোচনা ও সিন্ধান্ত ছাড়াই পরবর্তী নির্দেশ না পর্যন্ত বিশেষ সাধারণ সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।
[৭] এদিকে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আমি শুনতে পেলাম বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে সভাপতি হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমাকে যদি আবারও সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, বিগত দুই বছরের মত বারের উন্নয়নে কাজ করে যাব।