ডেস্ক রিপোর্ট: প্রচণ্ড গরম ও রমজানে মাগুরায় কয়েকগুণ বেড়েছে ডাবের দাম। গত বছর রমজানে ২০ টাকা দরে ডাব বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ডাবের দাম চার থেকে পাঁচগুণ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। জাগোনিউজ২৪
একাধিক ব্যবসায়ী ও ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির কোনো বিকল্প নেই। ডাবের ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে শহরের মোড়ে মোড়ে ভ্যানে করে ডাব বিক্রি হয় বছরব্যাপী। কেউ কেউ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পানি পান করেন, কেউ আবার ডাব কিনে বাসায় নিয়ে যান। বছরের অন্যান্য সময় একেকটি ডাব ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হলেও আকার বেদে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। জেলার বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে প্রায় একই দামে ডাব বিক্রি করতে দেখা গেছে।
শহরের হাসপাতাল এলাকায় ডাব কিনতে আসা সোহাগ হোসেন বলেন, ডাবের পানি সবচেয়ে নিরাপদ ও শরীরের জন্যও উপকারী। তাই অনেকে ইফতারের সময় ডাবের পানি পান করেন। প্রতি বছরের চেয়ে চার-পাঁচগুণ বেশি দামে এবার ডাব কিনতে হচ্ছে।
বিক্রেতা লোকমান বলেন, গ্রামে ঘুরে ঘুরে ডাব ক্রয় করেন। কখনো গাছ থেকে নিজেরা আবার কখনো শ্রমিক দিয়ে ডাব সংগ্রহ করা হয়। এরপর ভ্যানে করে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার সাথে কিছু মানুষ জড়িত। আগের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। ফলে ডাবের দামও কিছুটা বেড়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ১০০ গ্রাম ডাবের পানিতে প্রায় ১৮০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। ডাবের পানি খাওয়ার পর পটাশিয়ামের কারণে শরীরে একটা শীতল অনুভূতি আসে। ডাবে ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেড, সোডিয়াম ও পরিমাণমত ক্যালসিয়াম থাকে। এটি মানবদেহের জন্য খুব উপকারী।