রাশিদুল ইসলাম : [২] সিএনএন প্রতিবেদনে ভারতের পশ্চিমবাংলার নির্বাচনকে দেশটির মূল নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করে বলা হচ্ছে শাসক দল বিজেপি হারলেও নির্বাচনী ফায়দা লাভ করেছে অনেক বেশি।
[৩] সারাভারতে কোভিড সংকটের সময় এ নির্বাচনে পশ্চিমবাংলা জয়ে বিজেপির আগ্রাসী প্রচারণা ও বিশাল সমাবেশ করে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরীষ্ঠতা, ২ শতাধিক আসন পাওয়ায় তৃতীয়বারের মত মমতা মুখপাধ্যায় পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছে।
[৪] এই নির্বাচনে বিজেপি’র উল্লেখযোগ্য অর্জন হচ্ছে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে আত্মপ্রকাশ। কলকাতার রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিপেতেন্দু ভাস্কর বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী জয় বিস্ময়কর এ কারণে যে নরেন্দ্র মোদি বাংলা জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন, এটি স্পষ্ট যে তিনি তার পুরো রাজনৈতিক যন্ত্রপাতি এবং কৌশল কাজে লাগিয়েও তৃণমূলকে পরাস্ত করতে পারেননি।
[৫] ২০১৬ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনে যেখানে বিজেপি তিনটি আসন পেয়েছিল সে তুলনায় এবার এই নির্বাচনে ৭৭টি আসন পাওয়াকেই বিজেপির নির্বাচনী ফায়দা বলে মনে করা হচ্ছে।
[৬] বিজেপির এসব আসন জয় এমন এক সময় যখন মোদির দলের জন্যে কোভিড মোকাবেলায় সমর্থন প্রয়োজন।
[৭] কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভের সময় মোদি, তার রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা ব্যাপকভাবে পশ্চিমবাংলা সহ ৫টি রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর কারণে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মহামারী মোকাবেলাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন মোদি।
[৮] বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ তুলেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশন স্বাস্থ্য বিধি ভেঙ্গে এধরনের নির্বাচনী প্রচারণায় সায় দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :