সালেহ্ বিপ্লব: [২] আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে হত্যা করে মার্কিন সামরিক বাহিনীর স্পেশাল টিম নেভী সীলস।
[৩] বারাক ওবামা তখন প্রেসিডেন্ট, বাইডেন ছিলেন তারই রানিং মেট। লাদেনের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যেতে ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন পরামর্শ দিয়েছিলেন ওবামাকে। সেদিন হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে বসে গোটা অপারেশন প্রত্যক্ষ করছিলেন বাইডেন। ইনডিপেন্ডেন্ট
[৪] এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি সে দিনটার কথা কিছুতেই ভুলবো না। সামরিক বাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপারেশনটি সফল করেছিলেন। স্পুৎনিক
[৫] বাইডেন বলেন, নাইন ইলেভেন হামলার পর আল কায়েদাকে অনুসরণ করে আমরা আফগানিস্তানে পৌঁছি। সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, প্রয়োজন হলে নরকের দরজা পর্যন্ত ধাওয়া করে হলেও লাদেনকে ধরবো। আমরা তা করতে পেরেছি। আল কায়েদা ভীষণ দুর্বল হয়ে গেছে। ইয়ন
[৬] সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখায় বারাক ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার উত্তরসূরী বলেন, নাইন ইলেভেনে স্বজনহারা মানুষের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করেছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যে অঙ্গীকার, তা থেকে আমরা এক চুলও নড়বো না। নিউজ ২৪
[৭] ওসামা বিন লাদেন হত্যার এক দশক পূর্ণ হলো, এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পূর্ণ হবে নাইন ইলেভেনের দুই দশক। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিমান হামলা চালানো হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। দ্য হিল
[৮] আর এই সময়টাতেই আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তালিবানদের যে চুক্তি হয়েছিলো, সে অনুযায়ী, এই মে মাসের মধ্যে সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে সিদ্ধান্ত নেন, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাবুলে মার্কিন সৈন্যদের উপস্থিতি প্রয়োজন। সে হিসেবে তিনি ওই তারিখের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহার শেষ করবেন।