মো. সামসুল ইসলাম: রাষ্ট্র, সমাজ, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সংস্কৃতি এসবের আন্তঃসম্পর্ক বিশ্লেষণ না করে ব্যক্তি, সাংবাদিককে দায়ী করার প্রবণতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সাংবাদিকরা চাকরি করেন। তিনি ঘটনা ঘটান না, ঘটনা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণও করেন না। কোনো ঘটনার মিডিয়া কভারেজের ব্যাপারে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা নিতান্তই গৌণ।
যারা মিডিয়ার পলিটিক্যাল ইকোনোমি না বুঝে সাংবাদিকদের গালাগালি করেন তাদের মিডিয়া স্টাডিজের কিছু প্রাথমিক বইপত্র পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি। মিডিয়ার ভয়েজ মনোলিথিক না। সব মিডিয়া এক ভাষায় কথা বলে না। তাদের স্বার্থ মেনেই একেক মিডিয়া একেক ঘটনাকে একেক ভাবে দেখে। এভাবেই দেশের নাগরিকরা এক ভারসাম্যপূর্ণ বয়ান পান। আবার কোনো ঘটনার সীমিত কভারেজের ব্যাপারে বিদ্যমান আইনের উপস্থিতিও আমরা অস্বীকার করতে পারি না।
প্রথম আলো কেন বসুন্ধরার মালিকের নাম নেয়নি, সেটা নিয়ে হুলস্থুল দেখছি। আগে প্রথম আলো কিন্তু বসুন্ধরার মালিক বা গ্রুপের নাম ভালোভাবেই নিতো। কেয়ারটেকার সরকারের সময়ের কথা অনেকের মনে থাকতে পারে। সে অবস্থা এখন পরিবর্তিত। তারা নিজেরাই এখন মিডিয়া মুঘল। বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্টিংয়ের কারণে তারা নিজেরাই মিডিয়াতে বিনিয়োগ করেছে।
বসুন্ধরার বিশাল সাম্রাজ্যকে নাড়া দেওয়ার ক্ষমতা এখন প্রথম আলো তো দূরের কথা, কোনো মিডিয়ারই নেই। খামাখা সব ব্যাপারে সাংবাদিকদের গালি দিয়ে কে কি অর্জন করছেন, তা বুঝতে পারছি না। ফেসবুক থেকে