শিরোনাম
◈ অ‌ক্টোব‌রে বাংলাদেশ সফরে ৩‌টি ক‌রে ওয়ান‌ডে ও টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি সি‌রিজ খেল‌বে ও‌য়েস্ট ই‌ন্ডিজ ◈ ভুয়া ফুটবল দল সাজিয়ে জাপান-যাত্রা, ধরা পড়ে ফেরত পাঠিয়েছে ২২ জনকে! ◈ উচ্চশিক্ষার আগ্রহী শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ, সাথে আর্থিক সহায়তাও মিলবে ◈ সাতরাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ◈ আঞ্চলিক হুমকি নিয়ে ভারতের সতর্কবার্তা: বাংলাদেশে মৌলবাদ, চীন সীমান্ত অচলাবস্থা ও পাকিস্তানের ভূমিকা ◈ ইরানে অনুপ্রবেশ করে নারী মোসাদের দুর্ধর্ষ অভিযান (ভিডিও) ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, বরুশিয়ার নি‌শ্চিত জয় রুখে দিলো জুভেন্টাস ◈ দূর্গা পুজাতে ভারতে গেল ৮ ট্রাক ইলিশ ◈ এমবাপ্পের দুই পেনাল্টি গোলে চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লি‌গে রিয়াল মাদ্রিদের শুভ সূচনা ◈ যে কারণে শিবির ক্যাম্পাসে জিতছে, সেই কারণেই বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে জিততে পারে: দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২১, ০৪:৫২ সকাল
আপডেট : ০৩ মে, ২০২১, ০৪:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসান শান্তনু: মঙ্গলগ্রহের সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতা

হাসান শান্তনু: দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, টিভি স্টেশন নিউজ টোয়েন্টিফোর, অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজসহ বসুন্ধরার মালিকানার প্রচার মাধ্যমে যেসব সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী কর্মরত আছেন; তাদের ঢালাও আক্রমণ করে ফেসবুকে একদল সাংবাদিক কুমন্তব্য করছেন। যা একেবারেই অনৈতিক, অশোভন, সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এমনকি তারা স্ববিরোধী আচরণ করছেন জেনে-বোঝে। বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর কাণ্ডের দায় কিছুতেই সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের নয়। আনভীর ঘটনার প্রতিবেদন কেন বসুন্ধরার সংবাদমাধ্যমগুলো এড়িয়ে গেলো, এ নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে একাডেমিক আলোচনার কোনো সুযোগ নেই, এমনকি দরকারও নেই। পাঠকের আগ্রহ; সংবাদ প্রকাশ, প্রচারের দায়বদ্ধতা- সেসব ভিন্ন প্রসঙ্গ। মালিকের নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ, প্রচার হবে না- এটা শুধু এ দেশে নয়, বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতায় শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে প্রতিষ্ঠিত সত্য। বসুন্ধরার মালিকানায় থাকা প্রচারমাধ্যমগুলোর কথা না হয় তালিকার বাইরে থাকুক। মালিকের বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনো লেখা এ দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, প্রচার হয়েছে কি কোনোকালে?

পৃথিবীর কোনো দেশের গণমাধ্যমে কী তা হয়? যেসব সাংবাদিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজ টোয়েন্টিফোর ইত্যাদিগুলোতে কর্মরতদের সমালোচনা করছি, তারা কী পারবো নিজেরা কর্মরত প্রচারমাধ্যমে মালিকের বিরুদ্ধে অন্তত একটাও শব্দ লিখতে? ভারতীয় লোকসভা নির্বাচনের আগের ঘটনা। ওই নির্বাচনেই নরেন্দ্র মোদি প্রথম প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। ভারতের প্রভাবশালী একটা ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার মালিকের নির্দেশ ছিলো- বিজেপির নেতৃত্বের জোটের নির্বাচনী প্রচারণার খবর মোদির ছবিসহ তার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপাতে। প্রখ্যাত সাংবাদিক সিদ্ধার্থ ভরদরাজন তখন ওই পত্রিকার শীর্ষতম পদের দায়িত্বে। তার যুক্তি ছিলো- মোদির মতো উগ্র গেরুয়াবাদী রাজনীতিকের ছবি প্রগতিশীল নীতিমালায় বিশ্বাসী কোনো পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপানো যায় না।

মালিকের নির্দেশ মতে মোদির ছবি ঠিকই পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয় আর চাকরি ছাড়তে হয় সিদ্ধার্থকে। যেকোনো ভূখণ্ডেই মালিকের স্বাধীনতাই প্রচারমাধ্যমের চূড়ান্ত স্বাধীনতা। সাংবাদিক হয়েও যারা চিরকালীন এ সত্য ভুলে গেছেন, তারা আসলে নোয়াম চমস্কির ‘মঙ্গলগ্রহের সাংবাদিকতা’ ত্বত্ত্বের চর্চা করছেন। তারা এ দেশের নয়, পৃথিবীরও নয়; মঙ্গলগ্রহের সাংবাদিক। বসুন্ধরার সংবাদমাধ্যমগুলোতে এমন অনেকেই দায়িত্বরত, বা কর্মরত আছেন, যাদের এ দেশের সাংবাদিকতায় নিঃসন্দেহে অবদান আছে। তারা সাংবাদিকতাকে আজকের আধুনিকতার পর্যায়ে পৌঁছে দিতে শ্রম, মেধা দিয়েছেন। অনেকেই নিরেট সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন। তারা প্রমাণিত মানবিক মনের সাংবাদিক। তরুণদের মধ্যে এমনও আছেন, তারাই হয়ে উঠতে পারেন সাংবাদিকতার আগামীর অলংকার। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়