ডেমরা প্রতিনিধি : [২] রাজধানীর ডেমরায় তুচ্ছ ঘটনায় মো.সাইফুল ইসলাম (১৬) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার রাতে ডেমরার পশ্চিম হাজীনগর এলাকায়। এ বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল ডেমরা থানায় শিক্ষার্থীর বাবা মো.বেলায়েত হোসেন অভিযুক্ত পশ্চিম হাজী নগর এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্য আলী হোসেন, লাভলু, আমির হোসেন, সবুজ, মনির হোসেন, রাহাত, আশিক, সোহাগসহ আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
[৪] প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধায় মধ্য হাজীনগর এলাকার রাস্তায় অযথা উচ্চস্বরে মোটর সাইকেলের হর্ণ অতিরিক্ত মাত্রায় বাজায় মধ্য হাজীনগর এলাকার হালিমের ছেলে কিশোর গ্যাং সদস্য বখাটে জাকির হোসেন। এ সময় ্এ হর্ণ বাজানোর প্রতিবাদ করে স্থানীয় কুড়েঘর নামক একটি ক্রীড়া সংগঠনের সদস্য সৌরভ ও আফজাল।
[৫] এসময় আফজালের গায়েঁ কুড়েঘরের জার্সি পরা ছিল। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাং সদস্য জাকির হোসেনকে চড় থাপ্পর মারে আফজাল।
[৬] এর জেল ধরে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে জাকির হোসেন পশ্চিম হাজী নগর এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্য আলী হোসেন, লাভলু, আমির হোসেন, সবুজ, মনির হোসেন, রাহাত, আশিক, সোহাগসহ আরও ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে কুড়েঘর সদস্য আফজালকে খুঁজতে থাকে।
[৭] কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দেয় লাভলু হোসেন। এ সময় কুড়েঘরের জার্সি পরিহিত অবস্থায় তারাবীর নামাজ পড়ে স্কুল শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বাসায় ফিরছিলেন। সাইফুলের গায়েঁ কুড়েঘরের জার্সি দেখে কিশোর গ্যাং সদস্যরা সাইফুলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
[৮] পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের পাশাপাশি তার ক্ষতস্থানগুলোতে ৩০টির অধিক সেলাই লেগেছে বলে জানা গেছে। আহত সাইফুল স্থানীয় হাজী মোয়াজ্জেম আলী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
[৯] তবে মামলা রুজুর পর থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মামলা উঠিয়ে নিতে বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে মামলার বাদী বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন।
[১০] এ ব্যাপারে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার নাসির জানান, উক্ত ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।