ফজলুল বারী: উন্নত বিশ্ব স্বার্থপরের মতো ভ্যাকসিন মজুত করেছে, ভ্যাকসিন অর্থনীতির খেলা খেলছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে আমি এখন পর্যন্ত টিকার জন্য ডাক পাইনি। সস্তায় ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশ সিরামের কাছে গিয়েছিল। সিরাম চুক্তি রক্ষা করতে পারেনি ভারতের নাজুক পরিস্থিতির কারনে। সেটা পিঁয়াজ হোক আর ভ্যাকসিন হোক, ভারতের কাছে সবার আগে নিজের দেশের জনগন। বাংলাদেশ ভারতের অবস্থানে থাকলে একই আচরন করতো।
সিরাম আরেক কারনে চুক্তি রক্ষা করতে পারেনি। সপ্তম নৌবহরের গতিপথ ঘুরিয়ে দেবার মতো করে হঠাৎ আমেরিকা ভ্যাকসিনের কাঁচামাল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এখন ভারতের পরিস্থিতির কারনে কাঁচামাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক দিন লেগে যাবে। ভারতের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে করোনায় বিপুল মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় এর রাজনৈতিক উত্তেজনাও দেখা দিতে পারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সিরামের টিকা সরবরাহে ছেদ পড়তোনা। বাংলাদেশে ভারতের বর্তমান হাইকমিশনারকেও আমার বেশ সপ্রতিভ আন্তরিক মনে হয়।
বিকল্প পথে বাংলাদেশ এখন ভ্যাকসিনের জন্য চীন-রাশিয়ার দিকে হাত বাড়িয়েছে। ভারতের অবস্থা যদি স্বাভাবিক থাকতো তাহলে এ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হতো। এই প্রথম বাংলাদেশ ভারতের সাথে সীমান্ত বন্ধ করেছে। দূর্যোগে ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে প্রশংসনীয় কাজ করেছে বাংলাদেশ। চীন-রাশিয়ার ভ্যাকসিন এখন বাংলাদেশে স্বাভাবিক পথেই আসবে। কঠিন যে কথা, তাহলো এই দুই দেশের ভ্যাকসিনের জন্য অনেক বেশি টাকা গুনতে হবে বাংলাদেশকে। কারন তাদের টিকার দাম অনেক। উপায়হীন বাংলাদেশ। মানুষ বাঁচুক আমাদের। এরচেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :