শিরোনাম
◈ জামায়াতসহ আট দল একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের আ‌য়োজন মে‌নে নি‌লো  ◈ ফুটবল বিশ্বকাপে নতুন নিয়ম, ম্যাচের প্রতি অর্ধে ৩ মিনিটের পানি পানের বিরতি  ◈ যুব এশিয়া কাপের দল ঘোষণা কর‌লো বি‌সি‌বি ◈ রাজধানীতে দিনভর আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, সমাধান কোন পথে ◈ লাতিন বাংলা সুপার কাপে আর্জেন্টিনার ক্লাবের সঙ্গে ড্র করলো বাংলাদেশ রেড গ্রিন ◈ সরকারি উন্নয়ন ব্যয় ও ব্যাংকঋণ কমায় বেসরকারি বিনিয়োগে মন্দা, অর্থনীতি স্থবির হওয়ার আশঙ্কা ◈ টানা চার দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে ◈ হাতে হ্যান্ডকাফ ও শেকল পরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত ◈ সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, একদিনে এলো ৪১৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ◈ ওয়াজের মঞ্চে স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩২ দুপুর
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পুঠিয়ার বাজারজুড়ে ভেজাল খাদ্য

আবু হাসাদ:[২] কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারীর অভাবে পুঠিয়ায় ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যদ্রব্যর সরবরাহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। রোযার শুরু থেকে দোকানপাট গুলোতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ন্ন খেজুর ও ইফতার সামগ্রী। এতে করে এলাকার সাধারন মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

[৩] স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ, ভেজাল কারবারী ও ব্যবসায়ীদের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য স্যানেটারি পরিদর্শকের বিশেষ সমঝোতা থাকায় অসাধু ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যার কারণে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভেজাল খাদ্যপণ্যের সমারহ।জানা গেছে, পৌরসভা ও উপজেলা এলাকায় ছোট-বড় হাট বাজার রয়েছে ১৫টি। বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরির বেকারী রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। দু’হাজারের অধিক বিভিন্ন প্রকার খাবারের দোকান।

[৪] এ ছাড়া ছোট-বড় মুদি দোকান রয়েছে প্রায় তিন হাজার। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক ওই দোকানপাট গুলোতে খাদ্যের মান যাচাই ও দেখা শুনার নিয়ম থাকলেও এখানে তা করা হচ্ছে না। স্যানিটারি কর্মকর্তা বছরের পর বছর দোকান ও হাট-বাজার গুলোতে কোনো প্রকার খোজ খবর রাখছেন না। যার কারণে বেশীর ভাগ দোকানপাট গুলো থেকে প্রতিনিয়ত ভেজাল, বাসি-পচা ও অতি নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে।

[৫] পুঠিয়া সদর এলাকার আনোয়ার হোসেন নামের একজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, বাজারের বেশীর ভাগ মুদি ও খাবার দোকানের পরিবেশ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। কোনো কোনো খাবার হোটেলে বেশীর ভাগ সময় বাসি-পচা অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করছে। স্যানেটারি পরিদর্শক প্রতিনিয়ত খাবার দোকান গুলোতে যাতায়ত করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তিনি ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে সব সময় মাসোয়ারা পাচ্ছেন।

[৬] বানেশ্বর বাজার এলাকার আবুল কালাম বলেন, মাংস বিক্রির কশাই খানা ও মাছ বাজার গুলোতে প্রবেশ করার মতো কোনো অবস্থা নেই। বেশির ভাগ কশাইরা গভীর রাতে রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে সকালে ভালো গরুর মাংশ বলে বিক্রি করছে। এছাড়া মুদি দোকান গুলোতে ভেজাল তেলসহ বিভিন্ন পণ্যেগুলো ভালো বলে বিক্রি করছে। তিনি আরও বলেন, এখন রোযার মাস চলছে। রোযাদারগণ সব চেয়ে বেশী গুরুত্ব দেন খেজুরে।

[৭] অথচ সকল দোকানপাট গুলোতে অতি নিন্মমানের খেজুর ও ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।বানেশ্বর ও ঝলমলিয়া বাজারের সংশ্লিষ্ঠ দোকানদাররা বলেন, খাদ্য সামগ্রী আমরা পাইকারী কিনে খুচরা বিক্রি করি। অনেক সময় নানা জটিলতার কারণে আমরা দোকান ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি না। তার ওপর সঠিক সময়ে দোকানের মালামাল বিক্রি করতে না পারলে এর গুণগত মান কতটুকু কমে সেটা জানা নেই। তবে আমাদের ধারনা সে গুলো খাওয়ার উপযোগি থাকে।

[৮] খাদ্য সামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় স্বাস্থ্য বিভাগের খোজ খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রতিমাসে ঠিকমত টাকা দিলে স্যানেটারি কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে না।পৌরসভা স্যানেটারি পরির্দশক মামুন-অর রশিদ বলেন, আমার স্যানেটারি বিষয়ে তেমন কোনো প্রশিক্ষণ নাই। যার কারণে পৌরসভা এলাকাতেও স্যানেটারি পরির্দশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা স্যানেটারি পরির্দশক।

[৯] এ বিষয়ে উপজেলা স্যানেটারি পরিদর্শক হাফিজুর রহমান মাসোহারা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, খাদ্য ভেজালের অভিযোগ পেলে আমরা মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দোকান-পাটে অভিযান চালিয়ে থাকি। চলতি বছর পণ্যে ভেজাল দেওয়ায় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়