সালেহ্ বিপ্লব: [২] পোলান্ডের ওয়ারশ মমি প্রজেক্টের গবেষকদের এই আবিস্কারের কথা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে। ওয়ারশ শহরে ন্যাশনাল মিউজিয়ামে সংরক্ষিত এই মমিকে গিয়ে গবেষণা শুরু হয় ২০১৫ সালে। বিবিসি
[৩] শুরু থেকেই নানান রহস্যের জন্ম দেয় এই মমি। এর সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য পেতে পেতে বিজ্ঞানীরা আসলেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছিলেন বারবার।
[৪] এতোদিন জানা ছিলো, মমিটি একজন পুরুষ ধর্মযাজকের, তার নাম হর দেহুতি। কিন্তু সম্প্রতি স্ক্যান করে জানা গেলো ভিন্ন কথা। মমি করা নারীর বয়স হবে ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে। সংরক্ষণের পদ্ধতি দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি অভিজাত পরিবারের একজন। তার মৃত্যু ঘটেছিলো খৃষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দিতে। তখন তার গর্ভে থাকা সন্তানের বয়স ছিলো ২৬ থেকে ৩০ সপ্তাহ।
[৫] ১৮২৬ সালে এক ব্যক্তি মমিটি ওয়ারশ ইউনিভার্সিটিকে দান করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এটি প্রাচীন নগরী থেবসের রাজকীয় সমাধি থেকে পাওয়া। তবে এ কথা সত্য কি না, এ নিয়েও সংশয় আছে গবেষকদের।
[৬] তবে দ্বিধা-অবিশ্বাস যাই থাক, নতুন আবিস্কার ঘিরে তুমুল উত্তেজনায় ভাসছেন আর্কিওলজিস্টরা।
[৭] গবেষক দলের সদস্য ড. মারজেনা জানান, শিগগিরই তারা ওই নারীর মৃত্যুর কারণ জানার জন্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করবেন।