সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, সরকার একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে গিয়ে এক ঝুড়িতে সব ডিম রেখেছিল। ভারতে তীব্র করোনা সংকট সৃষ্টি হয়েছে, কাজেই নিজ দেশের প্রয়োজন না মিটিয়ে অন্য কাউকে ভ্যাকসিন দেবে না, সেটাই স্বাভাবিক। সরকার ভালোভাবে যাত্রা শুরু করলেও মাঝপথে তরী ডোবার উপক্রম হয়েছে। সরকার এখন চারিদিকে পথ খুঁজচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন, অক্সিজেনের ক্ষেত্রেও মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান এবং ভারতের ওপর নির্ভরতা একই সংকট তৈরি করছে। বাজেট বরাদ্দ থাকলেও দুর্নীতির কারণে গত একবছরে আইসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা-কিছুই করা হয়নি। এ বছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে দশ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। এর কতটা ব্যবহার হয়েছে, আর কতটা “নয় ছয়” হয়েছে তা তদন্তের দাবি রাখে।
[৪] রাশেদ খান মেনন বলেন, গত বছরের অঘোষিত লকডাউনে দিন আনে দিন খায় মানুষগুলো কিছুটা সহায়তা পেয়েছিল। এবার সেটা না পাওয়ার কারণে গরিব মানুষ খুবই কষ্টে আছে। ইতোমধ্যে প্রথম লকডাউনেই আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে। এবার সেটা কোন পর্যায়ে যাবে তা এখনই বলা যাবে না।
[৫] তিনি বলেন, সরকার ও সরকারি দল ঐক্যবদ্ধভাবে সংক্রমণ মোকাবেলার কথা বললেও সেটা কথার কথা। বরং তারা হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতার সূত্র খুঁজতে বেশি আগ্রহী। রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে করোনা মোকাবেলার নীতি দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। এতে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিপদাপন্ন।
[৭] বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওয়ার্কার্স পার্টির সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :