আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] নাসায় জীবনের ৭ বছর কাটিয়েছেন কলিন্স। তার মৃত্যুর পর তারা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজ জাতি একজন সত্যিকারের পথপ্রদর্শককে হারালো। অ্যাপলো-১১ এর পাইলট হিসেবে তিনি ছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে একাকি মানুষ। তার সহকর্মীরা যখন চাঁদে হাটছিলেন, তিনি আমাদের জাতিকে একটি মাইলফলক অর্জনে সহায়তা করছিলেন।’
[৩] কলিন্স যখন অ্যাপলো-১১তে বসে ছিলেন, সেখানে কোনও মানুষ ছিলো না, কোনও আলো ছিলো না, ছিলো না কোনও বাতাস, এক শব্দহীনতার সাগরে বসে ছিলেন কলিন্স। ইতিহাসের কোনও মানুষ আর কখনই এমন নি:সঙ্গ অবস্থায় পড়েননি।
[৪] মাইকেল কলিন্স চাঁদে সরাসরি যাননি। তার পা চাঁদের মাটি স্পর্শ করেনি। তার স্পেসবুটে কখনই লাগেনি চন্দ্রধুলি। কিন্তু কলিন্স মানবজাতির এক গর্বিত ইতিহাসের অংশ। তিনি অ্যাপলো-১১ এর প্রধান চালক। যিনি স্বেচ্ছায় চাঁদে যাননি, যেনো তার দুই সঙ্গী নিল আর্মস্ট্রং আর বাজ অলড্রিন সফলভাবে চাঁদে নামতে পারেন। ইতিহাসের সঙ্গী না হয়ে তিনি বরং ইতিহাস তৈরি করাটাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন।
[৫] ঈগল নামের ল্যান্ডারে করে চাঁদে যখন যাচ্ছিলেন বাজ আর নীল, তারা কমান্ড মডিউল কলম্বিয়ার একটি ছবি তুলেছিলেন পোর্টহোল দিয়ে। অসীমে স্থির দাঁড়িয়ে আছে কলম্বিয়া। যাতে একজনই মানুষের। ইতিহাসের নি:সঙ্গতম শেরপা মাইক কলিন্স। যিনি চলে গেলেন এক অমর ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :