মিনহাজুল আবেদীন: [২] বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল অব: মাহবুবুর রহমান এসব কথা বলেন।
[৩] মাহবুবুর রহমান বলেন, সারাদেশে ভ্যাকসিনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, বাইরের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা বাল্ব নিয়ে এসে উৎপাদন করতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের দেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
[৪] তিনি আরও বলেন, দেশে ধীরে ধীরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভ বা স্পুটনিক ভি টিকা, সিনোফার্মের টিকা, ডব্লিউ এইচ ও, ইউএস, ফাইজারের টিকাগুলো আসবে। ইতোমধ্যে সব বিষয় নিয়ে ডিজি হেলথ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের যোগাযোগ করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম সচল রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
[৫] তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৩৫টি দেশ চীনের সিনোর্ফামের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। দেড় সপ্তাহের মধ্যে উপহার হিসেবে ৫ লাখ কোভিড টিকা আসবে। তিনি বলেন, আজকে আমরা সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দিলাম। এই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।
[৬] মহাপরিচালক বলেন, সম্প্রতি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবরাহ সংকটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এর পরপরই রাশিয়ার ‘স্পুটনিক-পাঁচ’ অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। আজ অনুমোদন দেয়া হলো চীনের তৈরি টিকা সিনোফার্মের। এ নিয়ে দ্রুত দুটি নতুন টিকার অনুমোদন দেয়া হলো।
[৭] তিনি বলেন, ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। কোন কোন হাসপাতালে এর পরীক্ষা চালানো হবে ডিজি হেলথ তার মডেল তৈরি করবে। ১ হাজার মানুষের ওপর ১ সপ্তাহ ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করার পর, মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে।
[৮] তিনি আরও বলেন, এই চুক্তির মধ্যে বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান যুক্ত নেই। সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরাসরি যুক্ত থেকে কাজটি সম্পাদন করছে। বাংলাদেশে তিনটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, পপুলার এবং হেলথ কেয়ার। শুরুতে ইনসেপ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। রাশিয়া ও চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে যাচাই করার পর ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি দেবে সরকার। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান