শাহ জালাল: [২] মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভূতগর্ভস্থ (মাটির তলদেশ) পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারনে নলকূপ থেকে উঠছে না পর্যাপ্ত পানি। ফলে এই রমজানে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। চরম ভোগান্তিতে রয়েছে উপজেলার ভবেরচর, বাউশিয়া, বালুয়াকান্দি সহ অন্যান্য এলাকার প্রায় বিশ হাজার সাধারণ পরিবার।
[৩] সরেজমিনে দেখা যায় অনাবৃষ্টি (খরা) জনিত কারনে উদ্ভূত সমস্যাটি গত মাস থেকে গজারিয়ার বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনুসদ্ধান চালিয়ে জানা যায় ৭০০ থেকে ৯০০ ফুট গভীর যেসব নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো থেকে পানি উঠছে না।এদিকে স্থানীয় জলাশয় গুলোতেও রয়েছে পর্যাপ্ত পানির অভাব।
[৪] মহিউদ্দিন আহাম্মদ (ভুক্তভোগী) বলেন, এমন সংকট আজ প্রায় এক মাস হলো। বৈশাখে এমন তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টি গত প্রায় ২০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আমার বাড়ীর নলকূপটি ৯০০ ফুট গভীর অথচ নলকূপে পানি উঠছেনা।
[৫] ভবেরচর এলাকার বাসিন্দা মশিউর প্রধান জানান, দীর্ঘ দিনের অনাবৃষ্টিতে (প্রাকৃতিক) এবং জমিতে পানি দেয়ার স্কীম গুলির অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি (কৃত্রিম) ব্যবহারের ফলে এই অঞ্চলে পানির সংকট তৈরি হয়েছে।
[৬] এ বিষয়ে উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মতামত নিতে উপস্থিত হয়েও পিয়ন ব্যাতিত অফিস কক্ষে আর কোন দায়িত্বরত কর্তা ব্যাক্তিকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাঁড়া পাওয়া যায়নি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ