বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] এ ছাড়াও বাজেটে স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি ও শিক্ষায় অধিকতর বরাদ্দ রাখার জন্যও বলা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ২০২১-২২ সালের বাজেট প্রস্তাবনায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ( সিপিডি) এই বিষয়গুলো তুলে ধরে।
[৩] সিপিডি জানায় রেমিটেন্স ছাড়া অর্থনীতি সূচকের সবগুলোতেই চলতি অর্থবছরে খারাপ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। কোভিডকালীন স্বাস্থ্যখাতে সবচেয়ে ভাল কাজ হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে উল্টোটা। এখাতের বরাদ্দ সবচেয়ে কম ব্যায় হয়েছে। যা ব্যায় হয়েছে তাতেও অনিয়ম দুর্নিতীতে ভরপুর। সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার জিনিসও ক্রয় করা হয়েছে বেশি দামে। এরজন্য সিপিডি স্বাস্থ্যখাতের প্রশাসনিক সংস্কার ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার দাবি করেছে।
[৪] সামাজিক নিরাপত্তাখাতের জন্য আগামী বাজেটে ৩ বছরের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়। নতুন প্রায় ১কোটি ৩০ লাখ গরীব মানুষকে বছরে ৩ থেকে ৪ বার নগদ প্রণোদনার জন্য বলা হয়। এরজন্য সরকারের ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে বলে হিসাব দেন অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
[৫] কৃষি যান্ত্রিকতা ও কৃষিখাতে আরো বরাদ্দ বৃদ্ধি, বৈদেশিক সহায়তা ও ব্যাংক থেকে আগামী বাজেটের ঘাটতি মোকাবেলা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় আমদানিকরা পণ্যে শুল্ক ও কর ছাড়ের জন্য বলা হয়।
[৬] ড. মোস্তাফিজ বলেন, প্রবৃদ্ধিও চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো সম্পদের আহরণ ও তার ব্যায় বণ্টন কিভাবে হচ্ছে এ বিষয়টা। মেগা প্রকল্পের চেয়েও আগামীতে গুরুত্ব দিতে হবে কর্মসংস্থান হয় এমন প্রকল্পে। সরকারের ব্যায় আগামীতে আরো বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৩ শতাংশ বরাদ্দ রাখতে বলেন। কালো টাকা সাদা করার বিরোধিতা করেন তিনি।