জাহাঙ্গীর লিটন : [২] লকডাউনে শ্রমিক সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে ২ বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের শাকচর গ্রামের কৃষক শাহজান মিয়া।
[৩] ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। খবর পেয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাফাজ্জল হোসেন টিটু চৌধুরী। পরে উপজেলা পর্যায়ের যুবলীগের ১৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি একে এম সালাউদ্দিন টিপু ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্যা আল নোমান বুধবার সকালে থেকে কৃষক শাহাজান মিয়ার ২ বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করে দেন। যুবলীগ নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতনমহলসহ স্থানীয়রা।
[৪] যুবলীগের নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক শাহাজান মিয়া অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অন্যের চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছেন। লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না।
[৫] এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাফাজ্জল হোসেন টিটু চৌধুরী আরও জেলা উপজেলা নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার ২ বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে দেন। যুবলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।
[৬] সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাফাজ্জল হোসেন টিটু চৌধুরী জানান, এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলো। তাই দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কৃষকের মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলে দেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :