আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]অতিমারি ছাড়াও, ক্রেতাদের অন্য উৎসের সন্ধান করা এর কারণ [৩] বড় প্রবৃদ্ধি, আধুনিকায়ন এবং কর্মপরিবেশের উন্নতি, বাংলাদেশকে বিশে^র অন্যতম তৈরি পোষাক রপ্তানিকারকে পরিণত হতে সহায়তা করেছে। তবে খাতটি এখন বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। এটি উৎরে যেতে উদ্ভাবন, আধুনিকায়ন ও বিকল্প ক্রেতা ও পণ্যের সন্ধান জরুরী। জাস্ট স্টাইল
[৪] ব্যবস্থাপনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাকিনসি অ্যান্ড কোম্পানি ‘এক দশকের প্রবৃদ্ধির পর, বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্পের সামনে কি অপেক্ষা করছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অতিমারি এই খাতের উন্নতি আটকে দিয়েছে। এমন সময় তা হলো, যখন খাতটি বিশে^র শ্রেষ্ঠতম হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলো।
[৫] এছাড়াও, ক্রেতাদের অন্য উৎস খোঁজার প্রবণতাও ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহজীকরণ, টেকসইকরণ, কর্মীদের উন্নয়ন এবং অবকাঠামোতে শিল্পটিকে বিনিয়োগ করতে হবে। তবেই সামনের দিনগুলোতে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
[৬] ১০ বছর আছে ম্যাকিনসি ভবিষ্যতবানী করেছিলো, বাংলাদেশি তৈরি পোষাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ থেকে ৯ শতাংশ। ২০১১ সালে রপ্তানি আয় ১৪.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০১৯ সালে দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায় ৩৩.১ বিলিয়ন ডলারে। সে হিসেবে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে বিশ^ বাজারে বাংলাদেশের অংশ ৪.৭ শতাংশ থেকে ৬.৭ শতাংশে দাঁড়ায়।
[৭] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই অতিমারি বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। অনেক ছোট ও কম ফুঁজির কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। অতিমারির প্রথম বছরে এই খাতের অর্ডার ১৭ শতাংশ কমে গেছে। ফলে আয় কমেছে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার।