লিহান লিমা: [২] ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতিক পুনরুদ্ধারকে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে ফেলবে, বলছে মার্কিন চেম্বার অব কমার্স।
[৩] বিশ্বে প্রতি ৩টি নতুন কোভিড সংক্রমণের মধ্যে কমপক্ষে ১টি ভারতে রেকর্ড করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভারতে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ জন, প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৭৭১ জন। আল জাজিরা
[৪] দ্বিতীয় দফার ভারতীয় ধরণের এই সংক্রমণ দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙ্গে দিয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, দিল্লিতে প্রতি চার মিনিটে একজন করোনায় মারা যাচ্ছেন।
[৫]এ নিয়ে দেশটিতে মোট সংক্রমণ ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে, প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৪জন।
[৬]মার্কিন চেম্বার অব কমার্স সতর্ক করে বলেছে, কোভিডের এই বিপর্যয় বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের জন্য মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট আনতে যাচ্ছে, যার বিরুপ প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতেও।
[৭]যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর এই ব্যবসায়িক লবির নির্বাহী সহ-সভাপতি মেরন ব্রিলিয়ান্ট বলেন, এই ক্ষতি প্রত্যক্ষভাবেই পরিলক্ষিত হবে, কারণ অনেক মার্কিন কোম্পানি নিজেদের প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ ভারতীয় কর্মী নিয়োগ করেছে। ভারতীয় অর্থনীতির এই ক্ষতিকর প্রভাব মার্কিন অর্থনীতিতেও পড়বে।
[৮] গত ১৮ এপ্রিল থেকে সোমবার পর্যন্ত ভারতের খুচরা বিক্রি গভীরভাবে সংকুচিত হয়েছে। জিডিপির ৬০শতাংশই ভোগ্যপণ্য ব্যয়ে ব্যবহৃত হয় এমন একটি দেশের অর্থনীতির জন্য এটি মারাত্মক ঝুঁকি।
[৯]দুই সপ্তাহ আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএফএফ) ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১২.৫ শতাংশ হওয়ার পূর্বসমীক্ষা দিয়েছিলো। গত এক সপ্তাহে মুম্বাই ও দিল্লীর রাস্তাঘাট, মার্কেট, দোকানপাট সবকিছু ছিলো জনশূন্য। কোভিডের নতুন সংক্রমণ ও লকডাউন অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বৃহত্তর অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
[১০] মার্কিন চেম্বার ও ৪০টি ফার্মের সিইও ভারতকে চিকিৎসা সামগ্রী ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানে পাবলিক-প্রাইভেট টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। তাদের সহযোগিতা করছে ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল, বিজনেস রাউন্ডটেবিল ও ইউ-এস ইন্ডিয়া স্ট্যাট্রেজিক পাটনারশীপ ফোরাম সহ কয়েকটি সংস্থা। চেম্বারের সদস্য ও সিইও’রা সোমবার ভারতকে অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউসের পরামর্শক ক্রুট ক্যাম্পবেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের সঙ্গে দেখা করেছেন।