মিনহাজুল আবেদীন: [২] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস প্রাঙ্গণে এসব কথা বলেন তিনি।
[৩] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করলো তিন চার দিন হলো। এর আগে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টন লিকুইড অক্সিজেন আমদানি করা হতো ভারত থেকে। দেশে ১৫০ টন লিকুইড অক্সিজেন তৈরির সক্ষমতা আছে। আমাদের সর্বোচ্চ লাগলে প্রতিদিন ১৫০ টন লাগতে পারে। লিকুইড অক্সিজেন ছাড়াও ২৫০ থেকে ৩০০ টন অক্সিজেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা এগুলোকে লিকুইডে কনভার্ট করবো। এছাড়া দেশের বিভিন্ন সেক্টরে আরও ৪০ টন অক্সিজেনের ব্যবহার হয়। আমরা প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করবো।
[৪] মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে যদি সাত হাজার রোগী ভর্তি থাকে তাহলে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি হবে না। যদি ২১ হাজার রোগী ভর্তি হয় তাহলে হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকবে। তখন আমাদের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
[৫] যথাযথ সময়ে ভারতের করোনা টিকার না পাওয়ায় টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমরা ভারতের টিকার ওপর নির্ভর করে বসে নেই। ইতোমধ্যে রাশিয়া-চীনের সঙ্গে টিকার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। চীন পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেবে বলে জানিয়েছে।
[৬] মন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের কাছে তিন কোটি টিকা চেয়েছিলাম। চাহিদা অনুযায়ী টাকাও দিয়েছি। কিন্তু এখন তারা আমাদের টিকা দিচ্ছে না। সরকার ও বেক্সিমকো এই বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন।
[৭] তিনি বলেন, আমরা এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাশুল দিচ্ছি। প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন করে মানুষ মারা যাচ্ছেন। বহু ডাক্তার ও নার্স মৃত্যুবরণ করেছে। অনেকেই টিকা নেয়ারপর আর স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। আক্রান্তের হার গত বছরের তুলনায় অনেকগুণ বেড়েছে। তাই এই সময়টিতে ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
[৮] মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে সামলে নিয়েছিলাম। বর্তমান দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ সম্পর্কে মানুষ সচেতন না হলে সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে। তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সম্পাদনা: রাশিদ