এম. আমান উল্লাহ : মড়কে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে লাখ লাখ পোনা। হঠাৎ সাগরের পানিদূষণের কারণে চিংড়ি হ্যাচারিগুলোতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে এমনটাই ঘটছে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে মড়কের কারণে পোনা উৎপাদনে যেতে আতঙ্কে রয়েছে হ্যাচারিগুলো। এতে করে চরম ক্ষতির মুখে চিংড়ি হ্যাচারিগুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিসার্চ সেন্টারগুলো আগেভাগেই সতর্ক করলে এ ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না। যার ফলে চলতি মৌসুমে মড়কের কারণে নষ্ট হয়েছে ১৫০ কোটির বেশি পোনা।
সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার উপকূলে রয়েছে ৩০টির বেশি চিংড়ি পোনা হ্যাচারি। পোনা উৎপাদনে হ্যাচারিগুলোতে প্রবেশ করানো হয় সাগরের পানি, যা হ্যাচারিগুলোতে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাদার চিংড়ি থেকে উৎপাদন করা হয় হাজার হাজার চিংড়ি পোনা। কিন্তু হঠাৎ সাগরের পানি দূষণের কারণে হ্যাচারিগুলোতে চিংড়ি পোনা উৎপাদন করতে গিয়ে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে।
হ্যাচারি মালিক সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম জানালেন, প্রতি বছরই ক্ষতির মুখে পড়ছে হ্যাচারি মালিকরা। আর এবার ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের কারণে চিংড়ি রফতানিতেও প্রভাব পড়বে।
কক্সবাজারের হ্যাচারিগুলো ৫টি সার্কেলে উৎপাদিত ৮০০ কোটি চিংড়ি পোনা সরবরাহ করে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে। কিন্তু এবার ৩ সার্কেলে সরবরাহ করেছে মাত্র ২০০ কোটি পোনা।